কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি
খুলনা জেলার কয়রা থানার কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নং কয়রা গ্রামে মারামারি ও জিম্মি করে লুটপাটের ঘটনায় কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইং ২৯/০৮/২০২৪ তারিখে মোছাঃ শারমিন আক্তার সুমি বাদী হয়ে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৮ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর সিআর-৪২৮/২০২৪। মামলার আসামীরা হলেন শোয়েব আলী মোল্লা, আনিছ মোল্লা, মফিদুল ইসলাম,শরিফ মোল্লা, জাহিদুল মোল্লা, নাজমুস সাকিব (আলামিন), রাসেল হোসেন,মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মামলার আরজি ও বাদী সুত্রে জানা যায়, বাদীর পিতার সাথে আসামীগণের দীর্ঘদিনের জায়গা জমি লইয়া বিরোধ চলিয়া আসিতে থাকাবস্থায় বাদীর পিতার বসত বাড়ী অবৈধভাবে দাবী করিয়া জোর পূর্বক দখল করিয়া নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় খুন জখমের অসৎ উদ্দেশ্যে হুমকী দিয়া আসিতেছিল। বাদীর পিতা অসুস্থ থাকায় তিনি খুলনায় চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে ও দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরিয়া ঘটনার দিন ও সময়ে আসামীগণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদীর পিতার বসত বাড়ীতে দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্র ইত্যাদি লইয়া অনধিকার প্রবেশ করিয়া বাদীর পিতার নাম ধরিয়া ডাকতে থাকে ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকিলে বাদীসহ বাদীর মাতা ও দাদি ঘরের ভিতর থেকে জিজ্ঞেস করে এত রাতে কারা আপনারা? আমরা বাড়ীতে মহিলা ছাড়া আর কেউ নাই আর আমার পিতা খুলনায় চিকিৎসা করতে গেছে। বলার সাথে সাথে শোয়েব মোল্লা হুকুম দিয়া বলে যে, আজ বারী ফাকা পাইছি, সবাই যে যা পারিস সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে নে, সবকিছু তচনছ করে ফেল। বলার সাথে সাথে শোয়েব মোল্লার সঙ্গীয় আসামীগণ ঘরের দরজায় লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে বাদীসহ বাদীর মাতা ও দাদিকে কাপড় দিয়া মুখ ও হাত বাধিয়া গলায় দা ধরিয়া বলে যে কোন শব্দ করিস না , কোন কথা বলবি না , চুপচাপ থাক না হলে জীবনে শেষ করিয়া দিব বলিয়া অন্যান্য সকল আসামীগণ শোকেজের ভিতর রক্ষিত নগদ টাকা , স্বর্ণালঙ্কার , গ্যাস সাংসারিক জিনিসপত্র ও গ্যাস সিলিন্ডারসহ চুলা ও জমির মূল দলিল লইয়া যায় এবং বসত বাড়ি ভাঙচুর করে এবং বাদীর পিতার বসত বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ৮ বিঘার মৎস্য ঘেরে জাল টানিয়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাগদা, পারশে , টেংরা, ভেটকি ইত্যাদি মাছ মারিয়া লইয়া যায়।
এ ব্যাপারে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খোজ নিয়ে জানা যায় মোছাঃ শারমিন আক্তার সুমি বাদী হয়ে মামলাটি করিয়াছে এবং মামলাটি পিবিআই এর নিকট তদন্ত এর জন্য পাঠানো হইয়াছে।