ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশ সরকার নতুন করে আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে দেশজুড়ে সংঘটিত সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে এই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই ঘটনাগুলোকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে।
একজন কূটনীতিবিদ, যিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন, জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। এটা দ্রুত সামাল না দিলে, দেশের উপর নতুন করে বিদেশি চাপ আসতে পারে।”
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বিরোধী দলগুলো এবং কিছু স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী বিদেশে ভুল তথ্য পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে অতিরঞ্জিত মৃত্যুর সংখ্যা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপ্রমাণিত অভিযোগ।
বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক। জাতিসংঘের লোগোযুক্ত ট্যাংক ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে, যদিও সরকার দাবি করেছে এগুলো বাংলাদেশের মালিকানাধীন এবং কোনো বিদ্রোহ দমনে ব্যবহৃত হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আহমেদ হোসেন বলেন, “সরকারের উচিত এখনই কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঠিক তথ্য দিয়ে পরিস্থিতি বোঝানো জরুরি।”
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সংকট তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ও সুচিন্তিত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, দেশের ওপর নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।