মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী
পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে যা জানাযায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভুল না সঠিক,
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের
শিক্ষার্থী ভাই আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন বলে যে তর্থ প্রচার হয়েছে তা সম্পুর্ন ভুল না সঠিক তা জানতে চায় তাঁর পরিবার।
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশে রংপুর জেলা বি এন পি আবু সাঈদ এর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে যান ও তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কবর জিয়ারত করেন রংপুর মহানগর বিএনপি'র নেতৃবৃন্দ পীরগঞ্জের জাফরপাড়ায় আবু সাঈদ এর বাড়িতে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটি'র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু,রংপুর জেলা বিএনপি'র আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি'র সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন।
তাঁর গ্রাম বাসির প্রশ্ন আবু সাইদ এর গুলি গুলো তাঁর শরীরের কোন কোন অংশে লেগেছিল,
আবু সাইদ এর শরীর ভেদ করে যে গুলি গুলো তাঁর শরীরে প্রবেশ করেছে তা কোন পিস্তল এর গুলি পুলিশের না অন্য কোনও।
তা জানতে চায় আজ সারা বাংলা দেশ। জানাযায় থাকা সুশীল সমাজের জনগণ।
রংপুরে কোটা আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন করেন।
রংপুরে কোটা আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন করেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহত হন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বোরোবি) অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ (২৪) তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টায় রংপুরে পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামে জাফরপাড়া মাদরাসা মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন আবু সাঈদ ভাই, জানাজায় ইমামতি করেন আবু সাঈদের আত্মীয় মো. সিয়াম মিয়া।
এ সময় মানুষের ঢল নামে এর আগে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে আবু সাঈদের মরদেহ তার গ্রামে এসে পৌঁছে মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
শোক আর কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে যায়। সেখানে অপেক্ষমাণ ছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
একজন শামসুজ্জোহা হয়ে মরে যাওয়াটা অনেক বেশি আনন্দের গর্বের বলেন তাঁর গ্রামের বাসিন্দা রা
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন পেশায় একজন দিনমজুর। অর্থাভাবে কোনো ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি তিনি। আবু সাঈদ ছোট থেকেই ছিল অত্যন্ত মেধাবী। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল সাঈদ। তাকে ঘিরে আকাশসম স্বপ্ন ছিল দরিদ্র মা-বাবার।
আবু সাঈদকে হারিয়ে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে তার পরিবারটির। কারণ হিসাবে জানাযায় আবু সাঈদ তার নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া করে এতদূর পর্যন্ত এসেছিলেন। সে মেধা ও আচরণে গ্রামের সবার প্রিয় ছিল আবু সাঈদ। সেই ছেলেকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে শোকে পাথর হয়ে নির বাগ হয়ে গেছেন মা মনোয়ারা বেগম, আবু সাঈদের খবর নিয়ে তার অঞ্চলে জানা গেছে, ছোট থেকেই আবু সাঈদ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, তার ব্যবহারে তার প্রতি সবাই মুগ্ধ ছিল। তিনি স্থানীয় জুনুদের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে।
পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। পরে এলাকার খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন।
এরপর রংপুর সরকারি কলেজ থেকেও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন আবু সাঈদ।
বেঁচে থাকলে হয়তো আবু সাঈদ জীবনে অনেক বড় হতেন এবং পরিবারসহ এলাকার জন্য যথেষ্ট অবদান রাখতেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা
সম্পাদকীয় ও বাণিজিক কার্যালয়: ব্লক: ই, সেক্টর: ১৫, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০
নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৬১৯৮৭৭১৫৭, ইমেইল: news@hotnews24.news
সম্পাদক ইমেইল: editor@hotnews24.news, বিশেষ প্রয়োজনে: hotnewslive24@gmail.com
কপিরাইট ©2006-2024 hotnews24.news