রোকন মিয়া, কুড়িগ্রাম
উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নদনদী বেষ্টিত জেলাটির তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে খুব দ্রুতই বাড়ছে নদনদীর পানি।
আগামী ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়ে জেলায় একটি স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবো জানিয়েছে, বুধবার ১৯/০৬/২০২৪ দুপুর ২ টায়
তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।বিপৎসীমা বরাবর বইছে ধরলার পানি। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো।
উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন, তিস্তার পানি বাড়তেছে। নিচু এলাকাগুলোতে বন্যা হয়েছে। সাদুয়া দামার হাট ও পশ্চিম বজরায় ভাঙন শুরু হয়েছে। সকালবেলাই খবর পেয়েছি দুটি বাড়ি স্থানান্তর করা হয়েছে।
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শেফারুল ইসলাম বলেন, এখানকার প্রায় সবাই পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে ৫০ টির মত বাড়ি।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, উজানে ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার ভিতরে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এতে করে স্বল্পমেয়াদী মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রাথমিকভাবে বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে ১৭ লাখ টাকা ও ১৮০ মেট্রিক টন জিআর চাল মজুদ আছে। উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য বেশকিছু নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।