করোনা ভাইরাসের মহামারী শেষ হওয়ার পরপরই পৃথিবী এখন এক নতুন মহামারীর মুখোমুখি। এবার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের বিস্তারে। যদিও এআই আমাদের জীবনকে অনেক দিক থেকে সহজতর করে তুলেছে, তবুও এর বিস্তার নিয়ে বেশ কিছু উদ্বেগের কারণ রয়েছে।
প্রথমত, এআই প্রযুক্তির বিস্তার পরিবেশের ওপর গুরুতর ভারগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এআই প্রযুক্তি জনপ্রিয় হওয়ার কারণে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন 80% বৃদ্ধি পেতে পারে। এআইয়ের শক্তি-নিবিড় প্রক্রিয়া এবং ভাষা মডেল প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজনীয়তা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গবেষকরা বলছেন এআই প্রযুক্তি একক ভাবে এতটাই শক্তি গ্রহণ করছে যে, তা শত শত গাড়ির সমান পরিমাণ কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। এটা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিবেশগত উদ্বেগের পাশাপাশি, এআইয়ের প্রভাব শিল্প ও সাহিত্যের ওপরও পড়ছে। সৃজনশীল খাতে এআইয়ের অগ্রগতি শিল্পী ও লেখকদের কাজের ওপর ছায়া ফেলছে। অ্যাপলের সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপন এবং পুতিনের আত্মজীবনীর AI সংস্করণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা এবং সৃজনশীলতার স্বাধীনতা বজায় রাখতে এআই উন্নয়নে সরকার, শিল্প ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে। শক্তি দক্ষ এআই তৈরি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং নিয়মনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।