শেষ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৫ রান, ৪ রান হলে সুপার ওভার। মোসাদ্দেক হোসেনকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিস করলেন ব্লেসিং মুজারাবানি। হলেন স্টাম্পিং। ৪ রানে জিতে সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকে থাকল সাকিব আল হাসানের দলের।
ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচে ব্যাপারটি ওই পর্যন্ত ছিল অমনই। দুই দলের খেলোয়াড়েরা করমর্দন করছিলেন। টেলিভিশন আম্পায়ার যখন শেষ বলে মুজারাবানির স্টাম্পিং দেখছিলেন, সেটিকে মনে হচ্ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। তবে চোখ আটকে গেল নুরুল হাসানের হাতের দিকে। বাংলাদেশ উইকেটকিপার বল ধরেছেন স্টাম্পের সামনে!
আইন অনুযায়ী, সেটি নো বল। এমসিসিতে ক্রিকেট আইনের ২৭.৩.১ ধারায় বলা আছে, ‘স্ট্রাইক প্রান্তে স্ট্রাইকারের ব্যাট বা গায়ে লাগা, স্ট্রাইক প্রান্তের উইকেট অতিক্রম করা বা স্ট্রাইক রান নেওয়ার চেষ্টা করার আগপর্যন্ত উইকেটকিপারকে স্টাম্পের পেছনে থাকতে হবে।’
নুরুল মানেননি সেটিই। করমর্দন করতে থাকা দুই দলের খেলোয়াড়েরা নেমে আসেন আবার। স্বাভাবিকভাবেই চাপ আরও বাড়ে মোসাদ্দেক ও বাংলাদেশ দলের ওপর। এবার জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৪ রান।
মোসাদ্দেকের বলে আবার জোরের ওপর ব্যাট চালিয়েছিলেন মুজারাবানি, তবে মিস করে যান আবারও। এবার অবশ্য তিনি ছিলেন ক্রিজের ভেতরই। তবে নুরুল খানিকটা সময় নিয়ে, উইকেটের বেশ পেছনেই বল ধরে ভাঙেন স্টাম্প। সাকিব ইঙ্গিত করতে থাকেন, ‘এবার কী?’
ঠিক আগের মতো না হলেও এক ম্যাচেই দুবার জয়ের উদ্যাপন করল বাংলাদেশ। ৪ রানের বদলে তারা জিতেছে ৩ রানে।
ম্যাচশেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে আসা তাসকিন আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি জীবনে এমন কিছু দেখেননি। আর জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শন উইলিয়ামস এমন ঘটনাকে বলেছেন ‘অদ্ভুত’!
আর সাকিব আল হাসান বলেছেন, রিচার্ড এনগারাভা আগের বলে স্টাম্পিং হওয়ার পরই নুরুলকে সতর্ক করেছিলেন তিনি, ‘তুমি স্টাম্পের বেশ কাছে চলে গেছো!’
নুরুল সাকিবের সতর্কতা মনে রাখেননি বলেই না তখন অমন নাটক হলো ম্যাচে!