মোসলেম রেজা, ক্রীড়া প্রতিবেদক
আইপিএলের ১৭ তম আসরের ফাইনালে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের এম চিদামবারাম স্টেড়িয়ামে মুখোমুখি হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
আইপিএলের এবারের আসরে ফাইনাল ম্যাচের আগে গ্রুপ ও এলিমিনেটর ম্যাচে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিলো কলকাতা-হায়দরাবাদ। অবশ্য দুই ম্যাচেই পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে ট্রেভিস হেডের হায়দ্রাবাদ।
আজকের ফাইনালে কাগজ কলমে ফেভারিটের তকমা নিয়ে মাঠে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে শিরোপা খরায় ভোগা কলকাতা আজ নেমেছিলো ২০১৪ সালের পর আরেকটা শিরোপা জেতার আশায়। অপরদিকে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব পেয়েই দলকে ফাইনালে তুলেছেন কামিন্স। শিরোপা তার হাতে উঠলে অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নিয়ে যাবেন নতুন এক উচ্চতায়।
হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং ব্যথর্তা স্পষ্ট ভাবে আজকেও ফুটে উঠেছে। পাওয়ার প্লের শুরুতেই মিচেল স্টার্কের ১৩৯.১ গতির গুড লেন্হের করা ড্রিম ডেলিভারির বল টপ অফ দ্যা স্টাম্পে আঘাত হানলে ২ রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে পথ ধরেন অভিষেক শর্মা। ২য় ওভারে গোল্ডেন ডাক মেরে ট্রেভিস হেডকে ফেরত আসতে হয় প্যাভিলিয়নে। পাওয়ার প্লে শেষে ৩ উইকেটে হায়দ্রাবাদ করে ৪০ রান।
রাইডার্স বোলারদের বোলিং তোপে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ফাইনালে সর্বনিম্ম ১১৩ রানের রেকর্ড গড়ে সানরাইজার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ বলে ২৪ রান করেন হায়দ্রাবাদ ক্যাপ্টেন পেট ক্যামিন্স। নাইট রাইডার্সের হয়ে ২.৩ ওভারে ১৯ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল।
অল্প রানের পুঁজিতে বোলিং করতে নেমে দলীয় ১১ রানের মাথায় হায়দ্রাবাদ ক্যাপ্টেন পেট ক্যামিন্সের বলে শাহবাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে পথ ধরেন নারায়ন। শুরুর বিপদ কাটিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৭২ রান তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। রহমতুল্লাহ গুরবাজ ৩২ বলে ৩৯ রানে আউট হলেও, ভেঙ্কেটিস আইয়ার ২৬ বলে ৫২ রান করেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫৭ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়ে এক দশক পর ট্রফি যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘরে।