মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জসিম উদ্দিন (২৩) নামে এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় জেলেরা বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিবাড়ি সংলগ্ন সৈকত থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফিরছিলেন জেলেরা। এসময় তারা জসিম উদ্দিনকে “বাঁচাও বাঁচাও” বলে চিৎকার করতে শোনেন। প্রথমে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে করা হলেও পরে কাছে গিয়ে দেখা যায়, তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়।
উদ্ধারকৃত যুবক পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবদি ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম শাহ আলম। পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও প্রথমে সম্ভব হয়নি। পরে জানা যায়, তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হন।
জসিমের মা বিলকিস বেগম বলেন, “আমার ছেলে গাজীপুরের একটি কারখানায় কাজ করতো। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দেয়। এরপর থেকে তার সাথে কোনো যোগাযোগ ছিল না। মোবাইল বন্ধ ছিল। এখন শুনলাম সে কুয়াকাটা হাসপাতালে রয়েছে। আমরা দ্রুত সেখানে যাচ্ছি।”
কুয়াকাটা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুমসাদ সায়েম পুনম জানান, “জসিম উদ্দিনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।”
ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা জোন ইনচার্জ আ. খালেক জানান, “খবর পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে যাই। আমাদের টিম সেখানে তদারকি করছে। পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই রহস্যময় ঘটনার তদন্ত চলছে। কীভাবে যুবকটি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সমুদ্র সৈকতে এলেন এবং কারা এর সাথে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবার ও স্থানীয়রা তার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন।