আসন্ন জাতীয় নির্বাচনসহ ভবিষ্যতের সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ১০ দফা সুপারিশ পেশ করেছেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এফডিসিতে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক ছায়া সংসদে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই সুপারিশগুলো তুলে ধরেন।
কিরণের সুপারিশগুলোতে মূলত নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার, সঠিক নির্বাচন কমিশন গঠন, এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতির সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া তিনি এমন নির্বাচন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান, যা অভিজ্ঞ, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হবে এবং কোনো প্রকার চাপ বা লোভে নতি স্বীকার করবে না।
১০ দফা সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
১. তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা নির্বাচন আয়োজন করা।
২. নির্বাচনে কারচুপির শঙ্কায় ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা।
৩. দুর্নীতিবাজ, ঋণ খেলাপি, এবং ব্যাংক লুটেরাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কঠোর আইনি বিধান প্রণয়ন করা।
৪. নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও তা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।
৫. পরপর দুই টার্মের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারার বিধান রাখা।
কিরণ আরও বলেন, “নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার না হলে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ দিলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ব্যাহত হতে পারে।” তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দিয়ে রাষ্ট্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করার গুরুত্বারোপ করেন।