এ বছর কমনওয়েলথ বৃত্তি পেয়েছেন ২৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। ব্রিটিশ কাউন্সিলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ২০২৪ সালের কমনওয়েলথ বৃত্তিপ্রাপ্তদের জন্য একটি প্রি-ডিপারচার ব্রিফিং সেশনের আয়োজন করা হয়। এতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালক শ্যানন ওয়েস্টও উপস্থিত ছিলেন।
কমনওয়েলথ বৃত্তি প্রোগ্রামটি ১৯৬০ সালে শুরু হয়। এ পর্যন্ত ১,৮৬৭ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে ১০৫ জন বাংলাদেশি কমনওয়েলথ বৃত্তির অধীনে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত আছেন, যার মধ্যে ২০২৩ সালের শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।
এই বছরের স্কলাররা যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ, ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা, ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক, এসওএএস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনসহ শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবেন।
বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পাওয়া এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিহেভিয়োরাল অ্যান্ড ইকোনমিক সায়েন্স, বায়োলজিকাল কেমিস্ট্রি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটেশনাল অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিক্স, ডেটা অ্যান্ড ডিসিশন অ্যানালিটিক্স, এডুকেশন, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেমস, গ্লোবাল হেলথ পলিসি, হিউম্যান রাইটসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, “এই বছর ২৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়েছেন। তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদেরকে অভিনন্দন জানাই এবং তাদের সফলতা কামনা করি।”
ব্রিটিশ কাউন্সিলের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালক শ্যানন ওয়েস্ট জানান, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক স্বীকৃতি যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির প্রমাণ এবং এটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বকে আরও সুদৃঢ় করছে।
এ ধরনের বৃত্তি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মঞ্চে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।