তালতলী উপজেলা বিএনপির দলীয় কোন্দল বেড়েই চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের দুর্দিনের তৃনমুল নেতা কর্মীরা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই সক্রিয় ভাবে মাঠে ফিরেছেন তালতলী উপজেলা বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা।কিন্তু যতটা দিন গড়াচ্ছে দলীয় কোন্দল ততটা বেড়েই চলছে দলের ভিতরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন যুগ্ম আহবায়ক বলেন সিনিয়র নেতারা যে যার মত লোক নিয়ে পক্ষ ভারি করছেন। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগানোর পায়তারা করছে আওয়ামী লীগ। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল হক ও মাহবুবুল আলম মামুন মিলে একটা গুরুপ তৈরি করেছেন। উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা ও বহিস্কৃত সদস্য সচীব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এক গুরুপ তৈরি করেছেন।গোপনে গোপনে সাবেক সভাপতি আঃ মজিদ পিপি তার কিছু সমর্থক নিয়ে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন অন্য আর একটা গুরুপ সব মিলিয়ে তালতলী উপজেলা বিএনপি ৩ ভাগে বিভক্ত।
তালতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির একজন যুগ্ম আহবায়ক বলেন কিছু কর্মীরা অতি উৎসাহিত হয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করছে এদের চিহ্নিত করে দল থেকে বহিস্কার করার জন্য জেলা কমিটি ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দরের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে তারা এই ভাংচুর ও লুটপাট করছেন। যেটা আমাদের দল কোন ভাবেই প্রশ্রয় দিবে না।
দলের আহবায়ক শহিদুল হক বলেন দেশে গণঅভ্যুত্থান এর সময় কিছু টা ঝামেলা হয়েছে তাতে আমাদের দলের কেউ জড়িত না। এখন দলের নাম দিয়ে কেউ কিছু করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দলের মধ্যে গুরু পিং এর কথা অস্বীকার করে বলেন দলের সদস্য সচিব বহিষ্কার রয়েছেন তাই সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মামুন কে নিয়ে আমি দলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।