সোহাগ হাওলাদার, ঢাকা
সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সহ একাধিক কর্মকর্তাকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নিয়ে অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করার জন্য জোর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাসপাতাল ভবনের ২য় তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মাহাবুব জোবায়ের সোহাগ।
এসময় তিনি বলেন, রবিবার সকালে কিছু দুষ্কৃতকারী আমাদের হাসাপাতালে প্রবেশ করে। পরে তারা আমার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা আমাকে অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করার জন্য জোরপূর্বক চেষ্টা চালায়। আমি অবশ্য আমার অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করিনি। পরে আমি তাদেরকে বিভিন্নভাবে বুঝি শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়।
এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নাজিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর, গণস্বাস্থ্যেরও ৫৩ বছর। তরুণ ছাত্রসমাজ যখন দেশ গঠণে ব্যস্ত ঠিক তখনই ছাত্রলীগ নামধারী বেশ কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাঃ নাজিমউদ্দিন আহমেদ, ডাঃ এম.এ মোবিনসহ ৬ জন মুক্তিযোদ্ধার লালিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রবেশ করে হাসপাতালে বিভিন্ন স্থানে অতর্কিত হামলা চালায়। তার মধ্যে অন্যতম হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, ক্যাশ-কাউন্টার। এই হামলায় নেতৃত্ব প্রদান করেন শিরিন হক ও ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসী সাগর, সোহেল রানা, শিশির, ইমন, অন্তু দেওয়ান, মৃদুলসহ আরো অনেকে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা মূলত গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চায়। বর্তমানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল কর্মীরাই আতঙ্কিত ও শঙ্কিত। আমি গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি হিসেবে বলতে চায় গণস্বাস্থ্য গণ মানুষের সম্পদ, এই প্রতিষ্ঠান রক্ষার দায়িত্ব সাধারণ মানুষেরই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রহমান শাহজাহান, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু তাহের, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সমন্বয়ক ডা. মাহাবুব জোবায়ের সোহাগ সহ হাসাপাতালে অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।