বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ফাঁদে পা দিয়ে যৌক্তিক আন্দোলন বেহাত, ধ্বংসস্তুপ হলো দেশ

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকারে আসে, আজকের তরুণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই তখন শিশু। তারা ৭৫-পরবর্তী সময়কার নৈরাজ্য-স্বৈরশাসন, ২০০১-২০০৬ আমলে বিএনপি-জামায়াতের ভয়াবহ নৃশংসতা ও হত্যাযজ্ঞ দেখেনি। জামায়াত-শিবির কিলিং মিশন চালিয়ে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, বাম দলগুলোর কর্মী, প্রগতিশীল শিল্পী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছিল নৃশংসভাবে, প্রকাশ্যে, এমনকি শিক্ষাঙ্গনেই। এসব কি এই প্রজন্ম জানে? শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক কোটা আন্দোলন বেহাত হয়েছে সেই খুনিদের কাছে। মগজধোলাইয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ক্রীড়নক হয়ে সহিংসতায় যোগ দিল। কোটা আন্দোলন পুঁজি করে সরকার পতনের অপরাজনীতির বলি হলো। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের অপরাজনীতির শিকার হয়ে সহিংসতায় নেমে প্রাণ গেল যাদের, কিংবা নাশকতার দায়ে গ্রেপ্তার হলো যারা, চাকরি দূরে থাক, তাদের পরিবারের কী হবে? এসব কি শিক্ষার্থীরা ভেবেছিল? অথচ যাদের নির্দেশে তারা জ্বালাও-পোড়াও, সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, সেই বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতারা কিন্তু শিক্ষার্থীদের দায় নেবে না। কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শী নয়, এমন শিক্ষার্থীদের লাশ নিয়েও রাজনীতি করছে তারা। অর্থাৎ বাঁচুক-মরুক, দুইভাবেই শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে কুচক্রীরা। আন্দোলনে যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে খেটে খাওয়া শ্রমিক, দিনমজুর, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও ছিলেন। সহিসংতা থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দিতে গয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য শহিদ হলেন, আহত হলেন কয়েক হাজার। যে দোকান কর্মচারীর হাত-পায়ের রগ কেটে ছাদ থেকে নিচে ফেলে হত্যা করা হলো, তার অপরাধ কী? পেটের দায়ে রাস্তায় বেরোনো যে শ্রমিকের রিক্সা বা সিএনজি অটোরিক্সা পুড়িয়ে দেওয়া হলো, যে ব্যবসায়ীর দোকান লুট করা হলো, এক সপ্তাহ পণ্য বিক্রি করতে না পেরে ফুটপাতের যে ব্যবসায়ীর সব কাঁচা সব্জি পচে গেল, কিংবা সংঘর্ষে হতাহত হলো যে গার্মেন্টস শ্রমিক, তাদের পরিবারের সদস্যরা কি মানুষ নয়? সাধারণ মানুষকে কেন এই দুর্ভোগ পোহাতে হলো? শিক্ষার্থীদের সাথে তো সাধারণ মানুষের বিরোধ ছিলনা। বিভিন্ন জায়গায় থানা, সরকারি অফিস ও গাড়ি, স্থাপনা, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, ফায়ার স্টেশন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দপ্তর, মেট্রোরেলসহ সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে, ধ্বংস করে, লুটতরাজ চালিয়ে যে অরাজকতা চালানো হলো আন্দোলনের নামে, এই আন্দোলনই কি শিক্ষার্থীরা চেয়েছিল? কিংবা এই বাংলাদেশই কি চেয়েছিল তারা? এতে কি দেশ ও মানুষের কল্যাণ হলো? নিজেদের মেধাবি দাবি করে যে শিক্ষার্থীরা, তারা যে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বলির পাঁঠায় পরিণত হলো, তা কি বুঝতে পেরেছে? প্রশ্ন রইল।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Facebook
WhatsApp
Telegram
Twitter
LinkedIn
Email
Print

আরও পড়ুনঃ

নিয়ামতপুর উপজেলায় বি,এন,পি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

এম,এ,মান্নান,নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধি নওগাঁ জেলার

জয়চন্ডী ইউপিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিলন বৈদ্য

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া

কমলগঞ্জে এক শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে

মৌলভীবাজারে কমলা চাষে সাফল্য

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মৌলভীবাজারের জুড়ী

কয়রায় কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামীকে মেরে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ

আবুবকর সিদ্দিক, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি খুলনা জেলার কয়রা

মাধবপুর আদাঐরে শ্রী শ্রী তারকব্রক্ষ ৫২তম হরিনাম সংকীর্তন মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত।

মোঃআল আমিন ,মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি বিশ্বের সকল

আরটিভি’র কথিত সাংবাদিকসহ মাদক সম্রাট সাগরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার-৩

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি আরটিভি’র মৌলভীবাজার

প্রধান সংবাদ

মায়েদের উৎসাহিত করতে ভোলায় মা সমাবেশ

মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি ভোলা সদর উপজেলার

ভোলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের সমাপনি

মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি ভোলায় প্রতিবন্ধী

কুয়াকাটায় এক ইলিশের দাম উঠলো প্রায় ৭ হাজার টাকা

উপজেলা প্রতিনিধি, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) পটুয়াখালীর

উড়ছে বি এন পি নেতার খোলা চিঠি !

মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী, লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম জেলার

হাসিনার প্রসাশনিক এজেন্টরা ইউনূস সরকারকে সফলে বাঁধা;রিজভী

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব

জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এর সমাবেশে মানুষের ঢ়ল

এম,এ,মান্নান, নিয়ামতপুর, নওগাঁ নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর

উপকূলে মাঝারি বৃষ্টিপাত, ০৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল

মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় প্রভাবে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয়