আনিছুর রহমান, চলফ্যশন, ভোলা
ঈদের দিন সোমবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে চরমানিকা ইউনিয়ন বিভিন্ন ওয়ার্ডে USD Foundation ও সরলতা ফাউন্ডেশন,গরিব দুঃখী অসহায় মানুষদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ও তাদের সাথে ঈদ আনন্দকে ভাগাভাগি করতে বিভিন্ন ওয়ার্ড আশ্রায়ন প্রকল্পে ঘুরে গরু ও খাসির গোস্ত বিতরণ করেন।
ঈদের দিন ইউনিয়নে প্রায় ৬০টি পরিবারের মধ্যে এ কুরবানির গোস্ত বিতরণ করেন ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা । কিছুদিন পূর্বে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমত অবস্থায় অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার সহ যারা কুরবানি দিতে অক্ষম বা কুরবানি দিতে পারে না তারা যেনো আজকের এই ঈদের দিনে কেউ সন্তান নিয়ে অভুক্ত না থাকে। যারা ছেলে মেয়ের মুখে আজকে এক টুকরা কুরবানির মাংস তুলে দিতে অক্ষম সেই সব অসহায় গরীব-দুঃখী মানুষের দ্বারে আজকে এই ঈদ আনন্দের কুরবানির মাংস পৌঁছে দেবার মহতী উদ্যোগ গ্রহন করেছে USD Foundation ও সরলতা ফাউন্ডেশন । ফাউন্ডেশনের পক্ষে মোঃ আনিছুর রহমান বলেন,ঘূর্ণিঝড়ের রেমালের পর পর জরুরী ত্রাণ সামগ্রী বিতারন, এবং ঈদের (পূর্বে) হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে শাড়ী লুঙ্গি এবং বাচ্চাদের পোশাক বিতারন করেছি, আমরা চাই ঈদের আনন্দ সমর্থ অনুযায়ী কিছু পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে । তিনি আরও বলেন এই কুরবানির সময়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ফাউন্ডেশন সহ সমাজের সকল বিত্তবান ও সামাজিক সংগঠনের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে আমি মনে করি। প্রত্যেক প্যাকেটে ১কেজি করে গরু/খাশির গোস্ত প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে পৌছে দেওয়া হয়। মাংস পেয়ে বৃদ্ধ ফজল মাঝী আবেক আপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,বাবা সারাদিন ঘুরেছি কেউ আমাকে এক টুকরো গোস্ত দিলনা ভাবছি আমার অসুস্থ বউ আমি এবার কোরবানির গোস্ত খাইতে পারবোনা, গোস্ত দেখে আমার অসুস্থ বউ অনেক খুশি হবে,আল্লাহ্ তোমাদের ভালো রাখুক বাবা। মোঃ আনিছুর রহমান বলেন – এবছর অনেকে প্রবাসী এবং এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তি সহযোগিতা করছে, এভাবে সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা আরো বেশী অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফুটাতে পারবো। কার্যক্রম যেন সারা জীবন চলতে পারে,সমাজের বিত্তবান সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।