কুষ্টিয়ার মিরপুরে ১৬ বছর বয়সী নববধূ মিমকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে নিহতের গলায় রশি দিয়ে টেনে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। শনিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রামনগর গ্রাম থেকে নিহত গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মিরপুর থানা পুলিশ।
নিহত মিম মিরপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফার ছেলে সুজনের স্ত্রী এবং একই উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা আলম সাধু শাজাহান আলীর কন্যা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিমের বিয়ে হয় সুজনের সাথে।
নিহতের পিতা শাজাহান আলীর অভিযোগ, বিয়ের সময় স্বামীপক্ষ দেড় লাখ টাকা নগদ, ফ্রিজ ও গহনাসহ দাবি করেছিল। তিনি সবই একসাথে দিতে না পারলে ১৫ দিন আগে মিমকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় সুজন ও তার পিতা মোস্তফা। পরে তারা আবার মিমকে নিয়ে আসে। এরপর থেকেই মিমের উপর নির্যাতন শুরু করে শ্বশুর ও স্বামী।
শাজাহান আলী অভিযোগ করেন, গত ১৪ জুন রাত থেকে নৃশংসভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে মিমকে হত্যা করে তার গলায় রশি পেঁচিয়ে বাসার ছাদে ঝুলিয়ে রাখা হয়। রাতভর মিমের মৃত্যুর খবর তাকে দেয়নি স্বামীপক্ষ। মৃতদেহে আঘাতের কালচিহ্ন রয়েছে। উপজেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম রুনাও মিমের কপালে থেতলে থাকা আঘাতের চিহ্ন ও গলায় দড়ি পেঁচানোর দাগ দেখতে পান। স্থানীয়দের মতে, দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল।
মিরপুর থানা পুলিশ বলছে, লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ যদি হত্যাকাণ্ড হয়, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগও তদন্ত করা হচ্ছে।