গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে নতুনভাবে আরোপিত সিদ্ধান্ত ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় , প্রস্তাবিত বাজেটে একক ব্যক্তির মালিকানাধীনসহ সকল কোম্পানির করপোরেট কর হ্রাস করায়, ভ্যাট আপিলের ক্ষেত্রে দাবিকৃত অর্থের ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ জমা দেয়ার প্রস্তাব করায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেকগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের হার অর্ধেক করায়, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করায় আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।
বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্প সুরক্ষার কথা বলা হলেও শিল্প খাতে পূর্বের দেয়া অনেক সুবিধা হ্রাস করা হয়েছে। শিল্প কারখানার জন্য প্রি ফেব্রিকেটেড কারখানা ভবন নির্মাণে আমদানি উপকরণের শুল্ক ৫ শতাংশ হতে ১০ শতাংশ করা হয়েছে, জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বর্ধিত করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, নতুন বন্ড লাইসেন্স ফি ৫০ হাজার টাকার স্থলে ১ লক্ষ টাকা এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি বার্ষিক ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতের ওপর আবগারী শুল্কহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। কাস্টমস্ আইন ২০২৩ এর ১৭১ ধারায় আমদানিকৃত পণ্যের এইচএসকোডের ভুলজনিত কারণে ২০০%-৪০০% জরিমানার বিধান করা হয়েছে। শিল্প অঞ্চলের বাইরে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ব্যাংক ঋণ প্রদান না করার সরকারি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ সমস্ত পদক্ষেপের কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে, শিল্প প্রতিষ্ঠান ভয়াবহ সংকটে পড়বে, কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বে। আমরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে নতুনভাবে আরোপিত এ সমস্ত সিদ্ধান্ত ও শুল্ক প্রত্যাহার চাচ্ছি।
সকল সরাসরি রফতানি খাতের রফতানির ধারা অব্যাহত রাখতে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু প্রস্তাবনা বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিপন্থী হয়েছে সেগুলোর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। নতুন বন্ড লাইসেন্স ফি ৫০ হাজার টাকার স্থলে ১ লাখ টাকা এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি বার্ষিক ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার প্রস্তাব প্রত্যাহার, শিল্প অঞ্চলের বাইরে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ব্যাংক ঋণ প্রদান না করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ আরো কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতের জন্য সমসুযোগের উল্লেখ থাকলেও তা এখনো প্রদান করা হয়নি। তাই প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ার আগে হ্রাসকৃত ও প্রত্যাহারকৃত সুযোগ-সুবিধাগুলো বহাল রাখার পাশাপাশি প্রস্তাবনাসমূহ জাতীয় সংসদে বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়।