আবু মাহাজ, ভোলা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপ) জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ক্ষুদামুক্ত- দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানে “বাংলাদেশের একজন মানুষ ও গৃহহীন থাকবে না” – মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এত বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য জমিসহ গৃহ প্রদানের ন্যায় কার্যক্রম পৃথিবীতে আর ২য় কোনো নজির নেই। মাদার অব হিউম্যানিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এরুপ কার্যক্রম সফল বাস্তবায়ন করে পৃথিবীতে দৃষ্টাম্ত স্থাপন করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ১১জুন ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার ৫ম পর্যায়ের (২য় ধাপ) গৃহসমূহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভিডিও লিংক এর মাধ্যমে যুক্ত থেকে অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান – উজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর উল্লাহ চৌধুরী।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোরহানউদ্দিন পৌর মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম,উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইমরান জাহিদ, বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন ফকির, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী হিরা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আক্তারুন নেছা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক সহ উপকার ভোগী ব্যক্তিবর্গ সহ আরও অনেকে।
গণভবন প্রান্ত হতে অনুষ্ঠানটি সকাল ১০.৩০ মিনিটে শুরু হয়।
উল্লেখ্য, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এ পর্যন্ত ১ম পর্যায়ে ২৮টি,২য় পর্যায়ে ১৬ টি, ৩য় পর্যায়ে ১৪২টি,এবং ৪র্থ পর্যায়ে ১০৬টি ঘরসহ মোট ২৯২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়।
৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপ) সাচড়া,টবগী ইউনিয়নের দালালপুর মৌজায় এবং কাচিয়া ইউনিয়নের পদ্মানসা মৌজায় ২৩৩টি একক গৃহ নির্মান করা হয়েছে। এছাড়াও কাচিয়া ইউনিয়নের পদ্মামনসা আবাসন প্রকল্পের জরাজীর্ণ ব্যারাকের স্থলে ১৩২টি একক গৃহ নির্মান করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে প্রদপ্ত নমুনা মোতাবেক কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন,নামজারি সম্পন্ন ও গৃহ প্রদানের সার্টিফিকেট প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় সুপেয় পানি ও বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উপকারভোগীগন এবং পরবর্তিতে তাদের ওয়ারিশগন ০২ (দুই) শতাংশ জমিসহ গৃহের মালিকানা লাভ করবেন।