প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীর এক অনন্য নিদর্শন সোনারচর। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার এই দ্বীপটি বঙ্গোপসাগরের বুকে বসবাস করছে। নদীমাতৃক প্রকৃতির রমণীয় দৃশ্য এখানে চোখ ছানাবড়া করে।
সূর্যের প্রথম কিরণে ঝলমল করে ওঠা বালুচরগুলো যেন মুক্তোর মালা বিছিয়ে রাখে। দিনের শেষ প্রহরে সূর্যাস্তের রঙিন আভা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। প্রকৃতির এই রূপান্তর মনোমুগ্ধকর।
সোনারচরে বিস্তৃত পাখির আবাসভূমি রয়েছে। ডাহুক, বক, সারস, গাংচিল প্রভৃতি নানা প্রজাতির পাখি এখানে বসবাস করে। গভীর রাতে কুকু পাখির ডাক শোনার মতো অভিজ্ঞতা অতুলনীয়।
জেলে মাছ ধরার পেশাজীবীদের অস্থায়ী বসবাস এবং মাছ শুকানোর দৃশ্যও এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। বালুর ওপর প্রাকৃতিক পটভূমিকায় তাদের সহজ জীবনযাত্রার ছবি মনোরম।
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে এবং প্রয়োজনীয় পর্যটন সুবিধা সৃষ্টি করা গেলে, সোনারচর ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে। আশেপাশের জাহাজমারা দ্বীপ, চরকলাগাছিয়া ও চরতুফানিয়াসহ অঞ্চলগুলোও পর্যটনের নতুন মাত্রা বয়ে আনবে।
দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে পর্যটন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সুষম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সোনারচর অঞ্চল ভবিষ্যতে বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত প্রাকৃতিক আকর্ষণে পরিণত হতে পারে।