জাহিদ হাসান সাব্বির, রাজশাহী
শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা শিক্ষাক্ষেত্রে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা বিগত দিনে কোন সরকার প্রধান করেনি। ডিজিটাল থেকে এখন স্মার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছে ছিলো সোনার বাংলা গড়ার। তিলে তিলে পরিশ্রম করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে শিক্ষাখাতের বিপ্লব ঘটেছে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে পবা উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় সামসুদ্দিন প্রাং কে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নওহাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এগুলো কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জানুয়ারির ১ তারিখে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই পাচ্ছে বিনামূল্যে। আগে এই বই কিনতে না পেরে অনেক গরীব শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে বিনামূল্যে বই এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার ব্যায় মিটাচ্ছে। এখন আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিরুপ পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নতুন বহুতল বিল্ডিং দেওয়া হয়েছে যা আগে ছিলো না। শিক্ষা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে কেউ বেশি চিন্তা করে না। তাই পড়াশোনার সঠিক মান নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখবেন সন্তান কে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই বাবা-মা হিসেবে আপনারা সফল। সন্তান আপনার লেখাপড়ার দায়িত্ব শেখ হাসিনার।
অনুষ্ঠানে নওহাটা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, নওহাটা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, নওহাটা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, সাবেক অধ্যক্ষ কাউসার আলী, নওহাটা ছালেহিয়া দারুচ্ছুন্নাত ফাযিল মাদ্রাসা সুপার আলতাব হোসেন, নওহাটা পৌরসভা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর আগে প্রধান অতিথি বিদ্যালয়ে নামফলক ও ডিজিটাল উপস্থিতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) মেশিনের উদ্বোধন করেন।