গোপাল হালদার, রিপোর্টার
পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দেয়ার সময় পল্লী বিদ্যুতের লাইন ক্রু (লেভেল-১) মোহাম্মদ হাসনাইন (২২) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন। সহকর্মীদের অভিযোগ সিনিয়র অফিসারদের অবহেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (০৩জুন) উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরনিমদী এলাকায় দুপুর ১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত লাইন ক্রু মোহাম্মদ হাসনাইন ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চালিতাতলী গ্রামের মো. জামাল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর কারণে ঘটনাস্থলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলো প্রায় ৭ দিন। ঝড়ের আগে থেকেই ওই ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের টেকনিসিয়ান ছুটিতে ছিলেন। আজ অফিন থেকে জুনিয়র দুজন লাইন ক্রু সংযোগটি চালু করতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তিনি আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সহকর্মীদের অভিযোগ, লাইন সংযোগ সময় একজন সিনিয়র টেকনিসিয়ান সেখানে থাকা প্রয়োজন কিন্তু আমাদের অফিসাররা জুনিয়রদের প্রেসার দিয়ে টেকনিসিয়ান ছাড়া কাজটা করানোর কারণে তাদের সহকর্মী নিহত হয়েছেন। তাই এই দুর্ঘটনার জন্য তারা সিনিয়র অফিসারদের দায়ী করেছেন।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিরি বাউফল জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী গগণ সাহা জানান, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরমিয়াজান গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য বাউফল জোনাল অফিসের লাইন ক্রু লেবেল-১ হাসনাইন বেলা ১১টায় অফিস থেকে বেড় হয়ে যান। তার সাথে জাহিদুল হাসান নামে আরেক লাইনম্যান ছিল। হাসনাইন ওই বাড়ির পাশে একটি বিদ্যুতের খাম্বায় উঠে সংযোগ প্রদানের সময় অসাবধানতাবসত তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ডাঃ মিরাজুল ইসলাম মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মজিবুর রহমান গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে দুর্ঘটনার বিষয় তিনি বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী পুলে কাজ করার সময় ট্রান্সফরমার ডাউন না করে, সংযোগ দিচ্ছিলো। এসময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন। এজন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি।