হারুন অর রশিদ, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তফা মহসিন সরদার টিপু। এছাড়া জয়ন্ত কুমার দাস ভাইস চেয়ারম্যান ও ছালমা আক্তার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তার কার্যালয় হতে রাত সাড়ে ১২টায় সর্বশেষ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সকাল ৮ হইতে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র সমূহে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। উপজেলার ১৩৯টি ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ২২টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। ১৩৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ২২ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও ২ হাজার ৪৪ জন পোলিং অফিসার ভোট গ্রহন কাজে নিয়োজিত ছিলেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ব্যালিয়নের সদস্যরা। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান ১২ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এতে জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তফা মহসিন সরদার টিপু লাঙ্গল প্রতীকে ২৭ হাজার ১১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি খয়বর হোসেন সরকার মওলা হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯১৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ন্ত কুমার সরকার মাইক প্রতীকে ১৫ হাজার ৬৬৪ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব আমিনুল ইসলাম সাজু লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৩৭ ভোট। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ছালমা আক্তার শিল্পী কলস প্রতীকে ৩১ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বি প্রার্থী আল্পনা রানী গোস্বামী প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ২৭৭ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে এ উপজেলায় মোট ভোটের ২৫.১১% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে আশরাফুল আলম সরকার (কাপ-পিরিচ) ১৫ হাজার ৮৭৬, সফিউল ইসলাম (আনারস) ২৫১, আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল (দোয়াত-কলম) ৩ হাজার ৩৮, গোলাম কবির মুকুল (টেলিফোন) ৫ হাজার ৭১৬, ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (মোটর সাইকেল) ১১ হাজার ৬২৬, সাজ্জাদ হোসেন লিখন (ঘোড়া) ৮ হাজার ৯৭২ ও এরশাদ আলী (ব্যাটারী) ১ হাজার ৪০৮ ভোট।
অন্যান্য ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের প্রাপ্ত ভোট হলে আ ব ম আহসানুল করিম (টিয়া পাখি) ২ হাজার ১১, জি.এম.এম এমিল সাদেকীন (উড়োজাহাজ) ১০ হাজার ২২১, মহসিন আলী মন্ডল (পালকি) ৮ হাজার ৩৬১, আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল (গ্যাস-সিলিন্ডার) ৬ হাজার ৪৯২, আল শাহাদৎ জামান (সিংহ) ৩ হাজার ৭৭২, ছামিউল ইসলাম ভূইয়া (আইসক্রিম) ২ হাজার ৩৪৪, মারুফ হোসেন বাদল (চশমা) ১২ হাজার ৩২১, মাহালম মিয়া (টিউবওয়েল) ৮ হাজার ৪৩০, শামীম সরদার (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ৩ হাজার ৮৭৩ ও সাদ্দাম তালুকদার (তালা) ৬ হাজার ৭০০ ভোট।
অন্যান্য মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে উম্মে সালমা ( হাঁস) ১৫ হাজার ১৮, ফেরদৌসী বেগম (বৈদ্যুতিক (পাখা) ১২ হাজার ৮৬৩ ও শ্রীমতি স্বপ্না রানী ফুটবল) ১২ হাজার ৮৬৮ ভোট।
উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ১ হাজার ১৫৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ জন।
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।