জোনাইদ হোসেন প্রবল, নরসিংদী
গত ২৮ মে রাতে বাড়ি ফেরার পথে নরসিংদীর সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হাসানকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
ঠিক একই ভাবে গত ১৫ এপ্রিল প্রকাশ্যে দিবালোকে ইউপি সদস্য রুবেলকে গুলি করার পর জবাই করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, তার ঠিক ১ মাস ৭ দিনের মাথায় গত ২২ মে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া।
এভাবেই একের পর এক নরসিংদীর রাজনীতিতে রক্তের দাগ লেগেই চলছে।
নরসিংদীর সাধারণ মানুষ মনে করেন একটি হত্যাকাণ্ডের ও যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো, তবে এত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটত না।
নরসিংদী জেলার আইনজীবী সমিতির একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর মতে বিচার বিভাগের দীর্ঘসূত্রতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনতা ও অসাধুতার কারণে বিচার ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যার কারণে নরসিংদীতে এ ধরণের খুন বাড়ছে।
নরসিংদী রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদে ঢুকে জনপ্রিয় জিএস রনি কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা।ঠিক সেই বছরের ১ নভেম্বরই নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এভাবেই একের পর এক হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে নরসিংদীতে।
এর আগে এই বছরের ফেব্রুয়ারীতে শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৯৪ দিন পর তিনি মারা যান।
এভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কয়েক ডজন জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ কয়েজন ইউপি সদস্য খুন হয়। যাদের বিচার কার্যক্রমন ঝুলে আছে আদালতের আইনের মারপ্যাঁচে।