গোপাল হালদার, রিপোর্টার
পটুয়াখালীর উপকূলে ঘূর্নিঝড় রিমালের দুর্গত এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নিজ বাড়ী ঘরে ফিরলেও এখনও আতংক যেন তাদের পিছু ছাড়েনি। উপকূলের জনপদের গ্রাম গুলোতে শুধুই ধ্বংসের ছাপ। অনেকের রান্নার চুলা আজও জ্বলেনি।
জ্বলোচ্ছাসের তান্ডবে বেরিবাধ ভেঙে খন্ড-বিখন্ড। নদীপাড়ের দুর্গত এসব পরিবারের যেন কান্নার শেষ নেই। উপকূলের ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের জীবন যাত্রা সচলে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থা।
এদিকে রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সফরে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপির।
ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় মোট তিনজনের প্রাণহানিসহ উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জনজীবনের দুর্ভোগের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ, মৎস্য, কৃষি, শিক্ষা, সড়ক, বিদ্যুত খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করেছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস।
সংস্থাটির জেলা কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ জানান,
জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। এছাড়া ৬ হাজার ৮২টি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত ও ৩১ হাজার ৬শ ৯৪টি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
জেলায় কৃষি ২৬ কোটি ২১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য খাতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। বেরিবাধ বিশ কোটি, বনাঞ্চল ৭ কোটি ২৩ লাখ, ৩ কোটি ৬ লাখ টাকাড গভীর নলকূপ ও ৮ কোটি টাকার স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় ৮শ ২৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৬লক্ষ মানুষ ও ১ লাখ বিশ হাজার গবাদিপশু ও গৃহপালিত প্রাণী আশ্রয় নিয়েছিলো। এসময় গণসচেতনতা, উদ্ধার তৎপরতা ও প্রাথমিক চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলো রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি ভলান্টিয়াররা।