আবুবকর সিদ্দিক, কয়রা, খুলনা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খুলনা জেলার উপকূলীয় কয়রার ৩ টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জানা গেছে, ২৬মে (রবিবার) দুপুর থেকে ২৭ মে নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বাড়তে থাকলে কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালি (কোস্টগার্ড অফিস সংলগ্ন), মাটিয়া ভাঙ্গা, ছোট আংটিহারা, চোরা মুখা, বড় আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং মহারাজপুর ইউনিয়নের পবনা, কয়রা সদরের হামখুড়ার গড়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রেমাল উপকূলে আঘাত হানার আগেই খুলনার নদ-নদীতে বিপদসীমার ৪-৫ ফিট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পশুর নদীতে পানি প্রবাহের বিপদ সীমা মাত্রা দুই দশমিক ৪৫ মিটার। আজ তা বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ১৭ মিটার। খুলনার সবচেয়ে বড় নদী শিবসার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ থাকে এক দশমিক ৭৬। এর বিপদ সীমা হল এক দশমিক ৩৭ মিটার। আজ সেখানে প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৯৪ মিটার।
কপোতাক্ষ নদীর বিপদসীমা এক দশমিক ৯৫ মিটার আজ তা বিপদ সীমা ছাড়িয়ে ২ দশমিক ৪৭ মিটার এ পৌঁছেছে। শাকবাড়িয়া নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ১৭ মিটার সেখানে আজ বিপদসীমা অতিক্রম করে জোয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৩৯ মিটার।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোনার ভেরি বাঁধ ভেঙে ৭/৮ গ্রাম, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের বেলাল গাজির বাড়ির পাশের ভেরি বাঁধ ভেঙে ৫-৭ গ্রাম, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ভেরি বাঁধ ভেঙে ৫০ মিটারের ও বেশি ভেঙে কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।