বঙ্গোপসাগরে গঠিত ঘূর্ণিঝড় রেমালের আগাম প্রভাব লক্ষ্য করে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আজ শনিবার রাত থেকে উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে গত কয়েকদিন ধরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপকে কেন্দ্র করে একটি ঘূর্ণিঝড় গঠিত হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে রেমাল। আগামী রোববার (২৬ মে) ভোর থেকে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্ধ্যায় এর পুরোপুরি প্রভাব পড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
এমতাবস্থায় ঘূর্ণিঝড়জনিত ক্ষয়ক্ষতি রোধে বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন জানান, “আমরা ইতোমধ্যে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখানো হচ্ছে। আর উপকূলীয় এলাকায় সব ধরনের লঞ্চসহ নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, আগামীকাল শনিবার রাত থেকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হবে। একইসাথে বিআইডব্লিউটিএর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে যাতে তারা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে পারেন।
উপরন্তু, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানলে দ্রুত প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে উপকূলীয় এলাকার সকল মৎস্যজীবীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত, ঝড়ো হাওয়া এবং উচ্চ ভাটাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটাতে পারে। এ জন্য উপকূলবাসী এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।