মো: সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধ
সামরিক সৈরাচার “জিয়া বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন” এই সত্যকে মিথ্যা প্রমান করার জন্য ফখরুল সাহেব সাক্ষী হিসেবে আবিস্কার করেছেন সাত ঘাটের পানি খাওয়া মেজর হাফিজকে। হাফিজ সাহেবকে যদি বিশ্বাস করতে হয় তাহলে তিনি যখন কোনো দল করতেন না এবং স্বতন্ত্র এমপি (৯১-৯৬ সাল) হয়ে সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকেই সত্য হিসেবে ধরে নিতে হবে, অনেক কিছুই মেজর হাফিজ তার সংসদের বক্তৃতায় বলেছেন যা এখনো লিপিবদ্ধ আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা হচ্ছে, জিয়া হাফিজ সাহেবকে দিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেতে লোক পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু খালেদা জিয়া যেতে রাজি হননি। গত দুই বছর হলো ফখরুল সাহেবের আবিস্কার “খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা” এখন হাফিজ সাহেবও এই তত্ত্ব প্রচার করে। প্রশ্ন আসে সব মেজর সাহেবদের পরিবার ২৫ শে মার্চ রাত থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেল এমনকি যারা ঢাকায় ছিল, কিন্তু খালেদা জিয়াতো চিটাগং ছিল জিয়ার সাথে সেখান থেকে সে কেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে গেল? তাকেতো পুরানা পল্টনে যে বাসায় ছিল সেখান থেকে অন্য বাঙালী অফিসারের পরিবারের সাথে যাওয়ার জন্য বলেছিল, কিন্তু সে চলে
গেল পাকিস্তানিদের অতিথি হয়ে ক্যান্টনমেন্টে।
এ নাটকের একটা সুষ্ঠু তদন্ত করে তা জাতিকে জানানো উচিত।
হাফিজ সাহেব ১/১১র সময় খালেদা জিয়া, তারেক, কোকো ও এই দুর্নীতিবাজ পরিবার সম্পর্কে যা বলেছেন এবং ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে তারেক সম্পর্কে অনেক কিছুর মধ্যে কমিটি বানিজ্য বন্ধ করতে বলেছিলেন, হাফিজকে বিশ্বাস করলে এগুলোও মানতে হবে।
মুল কথা হচ্ছে বাকশালে শুধু চাকরিরত বাহিনী প্রধানদের সদস্য হওয়ার এখতিয়ার ছিল আর জিয়া কোনো বাহিনী প্রধান ছিলেননা, তাই অতি ভক্তি দেখাতে নিয়মের বাইরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করলে বঙ্গবন্ধু বিশেষ বিবেচনায় তাকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। মেজর হাফিজকে দিয়ে সাক্ষী জালিয়াতির মাধ্যমে মির্জা ফখরুল আবারও প্রমান করলেন যে, তিনি একজন “ডাহা মিথ্যুক”!