অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে। মানুষের মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে এসেছে। কিন্তু এর মধ্যেও মানবাধিকার ইস্যুতে ভুল তথ্য দিয়ে ছড়িয়ে চলেছে একটি চক্র। যারা বিদেশে বসে বিএনপি নেতাদের অর্থায়নে গুজবগুলো ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর আগে দেশের এলিট ফোর্স র্যাবের বিরুদ্ধে কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে একাধিক মিথ্যা রিপোর্টও প্রকাশ করেছে তারা। যে সমস্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে যে, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো প্রতিষ্ঠানকে নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের মতো রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার মদদে এই ষড়যন্ত্র সংঘটিত হয়েছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ভাবমূর্তি নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতেই এই ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মূলত দেশে জঙ্গি নিধন ও সন্ত্রাস নির্মূলে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যাতে করে আধিপত্য দেখাতে পারছে না বিএনপি-জামায়াতের পালিত সন্ত্রাসীরা। যে কারণেই এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যদিও বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বিএনপি-জামায়াতের হাতেই। ১৯৭১, ১৯৭৫ ও সামরিক শাসনামল, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের সহিংসতা ঘটায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা।
বিশিষ্টজনরা বলছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভুলবার্তা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সময়ে মানবাধিকার রক্ষায় বেশ তৎপর বাংলাদেশ সরকার। অতীতের সকল মানবাধিকার বিনষ্টের ঘটনা সামনে এনে বিচার করলে আসল চিত্র ফুটে উঠবে।