বিপ্লব ইসলাম, লংগদু, রাংগামাটি
পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের মনপতি বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। ইউপিডিএফ এর দায়িত্ব শীলদের ভাষ্য মতে এসময় জেএসএস-সন্তুর সশস্ত্রগ্রুপের অতর্কিত হামলায় ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুপের কালেক্টর তিলক চাকমা (৪৮) ও স্থানীয় সাধারন নাগরিক ধন্যমতি চাকমার (৩৭) এর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকেই থেমে থেমে কয়েকশো রাউন্ড ফায়ার করে এলাকা থমথমে করে তুলে পাহাড়ি সশস্ত্র দুই গ্রুপ।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রসীত গ্রুপের কর্মী সমর্থকদের তথ্য মতে,
শনিবার সকালে লংগদু উপজেলার সদর লংগদু ইউনিয়নের মনপতি ও ধনপতি এলাকায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু গ্রুপের একটি দল এসে (ইউপিডিএফ) এর কর্মীদের উপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জন নিহত হয়।
এ বিষয়ে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, এক জন ইউপিডিএফ কর্মী ও স্থানীয় একজন লোক নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এলাকাটি খুব দুর্গম আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্ত্বার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করতে শুরু করেছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সন্তুর নির্দেশে আজকে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। তারা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসের কোনো কার্যক্রম নেই। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কন্দোলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।