পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে একটি অবৈধ সিন্ডিকেট কর্তৃক অটোরিকশা চালকদের উপর চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বছরের পর বছর ধরে ‘বাংলাদেশ অটোরিকশা শ্রমিকলীগ’ নামক একটি কাল্পনিক সংগঠনের আওতায় এই চাঁদাবাজী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই সড়কের লেবুখালী থেকে পটুয়াখালী লাউকাঠী সেতু পর্যন্ত অঞ্চলে চলাচলকারী অটোরিকশাগুলোকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে নির্দিষ্ট স্টিকার না দেওয়া হলে সেই অটোরিকশা চলাচল করতে পারছে না।
তবে জানা গেছে, এই সিন্ডিকেট প্রতি মাসে গড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করলেও শ্রমিকদের কল্যাণে এই অর্থ ব্যয় করার কোন নজির নেই। পক্ষান্তরে, অবৈধভাবে মহাসড়কে চলাচলকারী এসব অটোরিকশার কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
অভিযোগ রয়েছে, গত দশ বছরে এই সিন্ডিকেট অটোরিকশা মালিক ও চালকদের কাছ থেকে তিন কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা শ্রমিকলীগ নেতা, রিকশা চালক ইউনিয়ন ও জাতীয় শ্রমিকলীগের নেতারা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বলেছেন, তারা সময়ে সময়ে অভিযান চালালেও এ ধরনের অভিযোগ পাননি। তবে যদি অভিযোগ পান, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে, পটুয়াখালী অটোরিকশা শ্রমিকলীগের সভাপতি দাবি করেছেন, তারা শ্রমিকদের সেবা ও দূর্ঘটনা চিকিৎসার জন্য চাঁদা নেন। কিন্তু ভুক্তভোগীরা বলছেন, তাদের ওই সুবিধা কখনও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল বলছেন, মহাসড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।