ওহিদুজ্জামান (সাজিদ), ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট। বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটার বনাঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের দৌরাত্ম্যের কবলে পড়েছে। এর ফলে গত ১৭ বছরে এখান থেকে প্রায় দুই হাজার একর বনভূমি বিলীন হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটা সৈকতের ১৩ হাজার ৯৮৪ হেক্টর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মারা যাচ্ছে। বিশেষত কেওড়া, গেওয়া প্রভৃতি প্রজাতির গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণেও বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পরপরই এখানকার গাছগুলো মারা যেতে শুরু করে। গত কয়েক বছরে শুধু কেওড়া গাছের ১০ হাজারেরও বেশি মারা গেছে বলে জানা গেছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে স্থানীয় বনদস্যুদের দৌরাত্ম্য। তারা অবৈধভাবে গাছ কেটে নিচ্ছে এবং কখনও কখনও গাছে আগুন ধরিয়ে ধ্বংসের কাজ করছে। এসব কারণে কুয়াকাটায় বৃহৎ পরিসরে বনভূমি উজাড় হচ্ছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন রক্ষার জন্য ‘সুফল’ নামে একটি নতুন প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কুয়াকাটা সৈকতে বৃহৎ আয়তনে বনায়ন কাজ করা হবে।
এদিকে স্থানীয় জনগণ বলছেন, এই বনাঞ্চল শুধু পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখাই নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও এর বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তাই বন রক্ষায় সরকার ও স্থানীয় জনগণের মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।