ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক নামধারী প্রধান শিক্ষকের নামে অনিয়ম আর অর্থলোপাটের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকের নাম আবুল কাশেম। শরীর চর্চা শিক্ষক হলেও বহাল তবিয়তে প্রধান শিক্ষক পদে বসে লুফে নিচ্ছে স্কুলের লক্ষ লক্ষ টাকা। অভিযোগ রয়েছে নিয়োগ বানিজ্যেরও। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বহিী অফিসার বরাবরে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের জন্য জমিদাতা মোঃ মোস্তাফিজ।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানাযায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি শুন্য থাকায় স্কুলে অভিজ্ঞ শিক্ষক থাকার পরেও পক্ষিয়া ইউনিয়ন থেকে নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরিরচর্চা শিক্ষক আবুল কাশেম রতনপুর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হয়ে যান। বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় সাংসদের পৃষ্ঠ পোষকতায় বনে যান প্রধান শিক্ষক। যদিও এখনও তিনি শরীরচর্চা শিক্ষকের বেতন পাচ্ছেন। কাগজে কলমে সিলদেন প্রধান শিক্ষকের । এরই মধ্যে আয়া, অফিস সহায়ক, নাইটগার্ড ও পরিচ্ছন্য কর্মী নিয়েগের দিয়ে হাতিয়ে নেন প্রতিপদে ৬ লাখ টাকা করে ২৪ লাখ টাকা। জমি দাতা মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন তার কাছ থেকেও পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়েগের জন্য ৬ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে গেলে জমি দাতাকে অসম্মান ও গালিগালাজ করে বের করে দেন স্কুল সভাপতি যুবলিগ নেতা আলামিন ও নামধারী প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম। অভিযোগে জানা যায় শিক্ষার্থীদের ভর্তিফি, বেতন,পরীক্ষার ফি, নিবন্ধন ফি ও টিউশন ফি থেকে নির্ধারিত টাকার চেয়েও বেশি টাকা আদায় করে নিজের পকেটে পুরেন। এসএসসি ফলম পুরনে নিয়েছেন ৬৮০০ টাকা অথচ সরকারে নির্ধরিত ফি ২১০০ টাকা। কোনো শিক্ষক প্রতিবাদ করতে গেলে ভয়ভিতি দেখান এবং অকথ্য গালমন্দ করেন। সরকার পরিবর্তনের পরপরই রং পাল্টে বিএনপির উপর ভর করেন। তার শ্যালক বিএনপির নেতার প্রভাব খাটিয়ে নতুন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন লুটপাট এমন অভিযোগ রযেছে। আরও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড দেয়ার কথা বলে ১০০শত টাকা করে নিয়েও কোনও আইডি কার্ড দেয়া হয়নি আজও। স্কুলে ক্লাশও ঠিকমতে চলছেনা বলে স্থানীয়রা জানান। বিদ্যালয়টিতে প্রায় ২৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্থানীয়রা শিক্ষক আবুল কাশেমের অপসারন দাবী করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কাশেম নিযেকে নির্দোষ দাবী করে। তিনি বলেন স্কুলের সভাপতি এ গুলো করেছে তার কোন হাত নেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা সব সরকারের আমলেই চাপে থাকে, অন্যদিকে জমিদাতা স্পস্ট বলেছেন আবুল কাসেমের হাতেই তিনি ৬ লাখ টাকা দিয়েছেন চকিুরির জন্য। দুর্নিতি ও অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্কুলের জমিদাতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।