মো: সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধ
হীড আমার, আমি হীডের” – এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ভোলায় উদযাপিত হলো হীড বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী। এই উপলক্ষে আয়োজন করা হয় সুবর্ণ জয়ন্তী, তারুণ্যের উৎসব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি এবং এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ভোলার হীড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের মাঠে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হীড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও এডাব-এর চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানূর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এবং জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার ফজলুর হাসান।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় অতিথিদের বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।
হীড বাংলাদেশের ভোলা অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসনাই আহমেদ, কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক রাশেদা বেগম, হীড বাংলাদেশের সহকারী পরিচালক (ক্ষুদ্র ঋণ) অদ্বৈত কুমার বিশ্বাস এবং ভোলা আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মারিও মুক্তি মন্ডল।
অনুষ্ঠানে হীড বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দল সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া, হীড বাংলাদেশের ৫০ বছরের সাফল্যের গল্প নিয়ে পটগান পরিবেশিত হয়, যা দর্শকদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ ও সাড়া ফেলে।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানূর রহমান তার বক্তব্যে হীড বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, “হীড বাংলাদেশের এই সেবা ও উদ্যোগ সমাজ উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখছে।”
বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন এবং উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সফল জীবন গড়ার উপদেশ দেন।
হীড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, “এই দীর্ঘ পথচলার সব সহযাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। হীড বাংলাদেশের সাফল্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল।”
অনুষ্ঠানের শেষে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। জিপিএ-৫ এবং জিপিএ-৪ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককালীন শিক্ষাবৃত্তির অর্থ এবং ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
এই অনুষ্ঠানটি হীড পরিবার ভোলার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।