আব্দুল্লাহ আল মামুন, যশোর
সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি শুনতে একটু ছোট নিম্ন মানের চাকরি হলেও ওরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংক অফিস সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা এবং সম্পদের নিরাপত্তা দেয়। দেশের অনেক জায়গায় সিকিউরিটি গার্ডদের খুন করে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার খবর আমরা বিভিন্ন সময়ে পত্রিকার পাতায় দেখতে পায়। এরপরও অনেক মানুষ অভাব অনটনে পড়ে এই পেশাটি বেঁচে নিয়েছে। কিন্তু বড় সমস্যা হচ্ছে সিকিউরিটি কোম্পানি, গার্ডরা রাতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে কিন্তু মধু খায় সিকিউরিটি কোম্পানি। একজন সিকিউরিটি গার্ডের জন্য ব্যাংক থেকে ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা বেতন দিলে গার্ড কে সিকিউরিটি কোম্পানি দেয় নয় থেকে দশ হাজার টাকা। বাকি চার পাঁচ হাজার টাকা অফিসে বসে খায় সিকিউরিটি কোম্পানি। কথা হয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসের যশোরের কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ডদের সাথে তারা গণমাধ্যম কে জানান আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই চাকরি করি কিন্তু বেতন কম, যা বেতন পায় তা দিয়ে সংসার চালাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।আমরা কষ্ট করি আর মধু খায় সিকিউরিটি কোম্পানি। আমাদের জন্য অফিস , ব্যাংক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে যে টাকা দেয়া হয়, তা থেকে তিন হাজার পাঁচ হাজার টাকা আমাদের কম দেয়া হয়। গার্ড রা বলেন দেশে এই বৈষম্য দুর করতে হবে।সিকিউরিটি গার্ড কোম্পানির অনিয়মের বিচার করে গার্ডদের সঠিক প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে হবে।সারা মাস কষ্ট করবো আমরা আর সিকিউরিটি কোম্পানি বসে বসে বেতন নিবে এটা চরম অনিয়ম।আমরা অসহায় গরীব অভাবের তাড়নায় এই চাকরি করি আমরা এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
এছাড়াও আরো শত শত অভিযোগ ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেক গার্ড গণমাধ্যম কে জানান আমাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য অফিস বসে বসে বেতন খায়, কিন্তু আমাদের কোন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় না। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়লে,বা বাড়িতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ছুটি দেয়া হয় না। আমাদের বেতন দেয়া হয় সাত তারিখ থেকে দশ বারো তারিখে এর আগে কোন সমস্যা হলে আমাদের কোন প্রকার সহযোগিতা করে না ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি।
সিকিউরিটি গার্ডের কাজ নিরাপত্তা দেয়া কিন্তু অনেক জায়গায় অনিয়মভাবে গার্ডদের দিয়ে অনেক কষ্টের কাজ করানো হয়। এবিষয়ে অফিস কে জানালে তারা কোন পদক্ষেপ নেই না। উল্টো সিকিউরিটি গার্ড কে ধমক দেয়া হয়। এছাড়াও চাকরির দেয়ার নামে সিকিউরিটি গার্ডদের থেকে প্রথমে পাঁচ হাজার ছয় হাজার করে টাকা নেয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিস।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসে খুলনার বিভাগীয় পরিচালক রুবেল হোসেন বলেন ভাই নিউজ করে কোন লাভ নেই। আমাদের রেজিস্ট্রেশন করা আছে আমাদের কিছুই হবে না। এবিষয়ে ভুক্তভোগী এক গার্ড বলেন আমি খুব দ্রুত ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিস এবং পরিচালক রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করবো।