বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে এক মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, (সুপার) কলেজ ছাত্রীকে লালসার শিকার করতে না পেরে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তি জাকিরতবক ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক) এবং তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালীপাড়া এলাকার জেন্নাত আলীর ছেলে এবং ওই ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মাও. আনোয়ার হোসাইন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মাও. আনোয়ার হোসাইন (৫৪) যেই ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য, কুপ্রস্তাবের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী একই ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি বরগুনা মহিলা কলেজের বিএসএস এর ছাত্রী। ওই মাদ্রাসা শিক্ষক প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বসে রাত কাটানোর কুপ্রস্তাব দেয়। এবং ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে এলাকার লোকজনদের কাছে মান সম্মানের হানি ঘটনায়। ইতি পূর্বে তাহার পটুয়াখালী জেলায় পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে দিলেও বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন ধরনে অশ্লীল কথা বার্তা বলে তার স্বামীর কাছ থেকে তালাক দিতে বাধ্য করে। তাহার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করলে কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনদেরকে খুন যখমের হুমকি দেয়। তিনি প্রতি নিয়ত বাসার চার পাশে দা বটি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুড়ে বেড়ায়। এমন কি এলাকার কোনো লোকের সাথে কথা বলাও নিষিদ্ধ করে দেয়। শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে বর্তমানে মেয়েটি কলেজে যেতে পারে না। মেয়েটির পরিবারকে বলেন তার সাথে বিয়ে না দিলে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করবে। লজ্জায় পড়ে ঘর বন্দী হয়ে থাকতে হয় মেয়েটিকে। এ ছাড়াও অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা সুপার একজন দুষ্কৃতকারী ও মামলাবাজ। কলেজ ছাত্রীর মা খালার মুঠোফোনে কল দিয়ে প্রতিনিয়ত ওই ছাত্রীকে নিয়ে নানা ধরনের বাজে কথা বলেন। এধরণের সামাজিক ও মানসিক সমস্যার সমাধান পেতে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং মাদ্রাসা ম্যানেজি কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেয়েটি।
স্থানীয়রা জানান, আনোয়ার মাওলানা নামে তিনি এলাকায় বেশ পরিচিত। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তিনি আ.লীগের দালালী করত। জেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতাদের সাথে তাহার ওঠা বসা ছিলো। তিনি অত্যান্ত নারী লোভী। বর্তমানে তার ২ টি বউ এবং ৫ ছেলে মেয়ে আছে। এখন এই মেয়েটিকে টার্গেট করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। অভিযুক্ত চরিত্রহীন ওই ব্যাক্তিকে শিক্ষক এবং ইউপি সদস্য পদ থেকে তদন্ত পূর্বক বরখাস্ত চাই।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রী (ভিকটিম) বলেন, আমার ইজ্জত বাচাতে আপনারা আমায় সহযোগিতা করুন। আমি সমাজের আরও ২-৪ টা মেয়ের মতো সম্মান নিয়ে বাচতে চাই। আমি ইউএনও'র কাছে অভিযোগ দিয়েছি। সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা শিক্ষক এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-১ বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটে নাই। তোমার যা মন চায় লিখ। বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মিঞা এরিয়ে গিয়ে বলেন, এগুলো আমার কাছে প্রশ্ন না করাই ভালো।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে শুনানিতে রাখা হয়েছে
সম্পাদকীয় ও বাণিজিক কার্যালয়: ব্লক: ই, সেক্টর: ১৫, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০
নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৬১৯৮৭৭১৫৭, ইমেইল: news@hotnews24.news
সম্পাদক ইমেইল: editor@hotnews24.news, বিশেষ প্রয়োজনে: hotnewslive24@gmail.com
কপিরাইট ©2006-2024 hotnews24.news