মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী এ স্টাফ রিপোর্টার
জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস অটোরিকশা চালক দীলিপ হত্যা মামলার ৬ ঘণ্টার মধ্যে দুই হত্যাকারিকে গ্রেফতার এবং একই সময়ে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করেছে জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ বাহিনী ।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ই নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার গতনশহর এলাকার একটি আখক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷
নিহত দিলীপ চন্দ্র সদর উপজেলার পূর্ব দোগাছি গ্রামের মাখন চন্দ্রের ছলে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার
খনজনপুর-গতনশহর সড়কের পার্শ্বে আখক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, দিলীপ চন্দ্র বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অটো ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। স্থানীয়দের ধারনা যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে উপুর্যপরী কাঘাত করে হত্যা করে। পরে মরদেহ আখক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।
যাঁর সামান্য একটি অটোরিকশার জন্য মানুষ হত্যা করতে পারে এদের ফাঁশি দেওয়া হোক,
থানার অফিসার ইনচার্জ শাহেদ আল মামুন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স জেলার পাঁচবিবি থানার চান পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা চালক দীলিপ চন্দ্র বর্মন হত্যার দুই মূল আসামি ইমান আলী ও এনামুল হোসেনকে গ্রেফতার করে এবং হত্যার সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও তার ব্যবহিত ফোন উদ্ধার করেন।
গ্রেফতারকৃত ইমান আলী জয়পুরহাট শহরের বিহারি পাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে এবং এনামুল হোসেন মাগনিপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। এই হত্যাকান্ডের দায় তারা প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
সাধারণ জনগণের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান বাংলাদেশর ৬৪ জেলায় এদের সিন্ডিকেট আছে এদের রিমান্ডে নিয়ে অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করেণ এস্থানিয় লোক জন সাথে এ সিন্ডিকেটের সাথে কারা আছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।