ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলা কৃষকদের ফসল উৎপাদনের জমি নষ্ট করে অপরিকল্পিত ভাবে ও কৃষকদের জমির মূল্য পরিশোধ না করে বেড়ি বাঁধ নির্মানের অভিযোগ ।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিপিপি প্রকল্পের আওতায় নতুন বেড়ি বাঁধ নির্মান কাজ শুরু করেছে। এ বেড়ি বাঁধ নির্মানের জন্য কৃষকদের একমাত্র আয়ের উৎস্য ধানি জমিগুলো অপরিকল্পিত ভাবে কেটে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত ভুমি মালিকরা পাইনি জমির মূল্য।
এ ব্যাপারে আমরা সম্মিলিত কৃষকরা বাঁধা প্রদান করলে তারা তা মানছে না। অন্যদিকে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল দিয়ে আমাদের উপর হুমকী ধামকি অব্যাহত রেখেছে। তারা আরো বলেন, মনপুরা রক্ষার জন্য বেড়ি বাঁধ নির্মান করা হোক এটা আমাদের প্রাণের দাবী। কিন্তু এ বেড়ির জন্য আমাদের ফসলি জমির মাটি কাটার পূর্বে কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ও মাতামত না নিয়ে তাদের ইচ্ছে মতো আমাদের চাষাবাদের জমিগুলো ধ্বংশ করে দিচ্ছে।
সূত্রে আরো জানাগেছে, সরকারি নিয়ম হচ্ছে, নদীর তীর থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে বেড়ি বাঁধ নির্মান করতে হবে। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, ওই এলাকার প্রভাবশালীরা কাজ শুরুর আগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে হাত মিলায়। এতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালীদের জমি রক্ষা করতে গিয়ে কোথাও কোথাও ২৪শত থেকে ১৬শত মিটার দূরেত্বে বেড়ি বাঁধ নির্মন কাজ অব্যাহত রেখেছে। ওই এলাকার সচেতন মহল জানান, এভাবে নদীর পাশে কৃষকদের চাষাবাদের জমি রেখে মাটি কাটলে অধিকাংশ কৃষকরা তাদের শেষ সম্বলটুকু হাড়িয়ে পথের ভিখারী হতে হবে। এ বেড়ি বাঁধের উদ্দেশ্য মনপুরার মানুষদের জীবনমান রক্ষা করা এবং কৃষকরা যাতে বছরে ২বার তাদের জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, বেড়ি বাঁধের বাইরের জমিগুলোতে জোয়ারের পানির সমস্যার কারনে বছরে একবারের বেশী ফসল উৎপাদন করতে পারবে না কৃষকরা। তাই অসহায় কৃষকদের বাচাঁতে তদন্ত সাপেক্ষে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আমলে নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী দৃষ্টি কামনা করেণ মনপুরার ভূক্তোভোগী কৃষকরা।
এলাকার কৃষক, আমির হোসেন, আবদুল খালেক, ওমর ফারুক, আবদুল মোতালেবসহ অনেকে জানান, বেড়ি বাঁধের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ওলিউল্যাহ চেয়ারম্যান ও কিছু সংখ্যক প্রভাবশালীদের সাথে হাত মিলিয়েছে। যার করণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালীদের জমি বাঁচাতে গিয়ে আমাদের মতো অসহায় কৃষকদের জমিগুলো কেটে মনগড়া বেড়িবাধ নির্মান করছে। তারা আরো বলেন, এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শুধু আমাদের জমিই ধ্বংশ করছে না। তারা ড্রেজার দিয়ে নদীর তীরের নিকটবর্তি ম্যানগ্রোভ (সবুজ বেষ্টুনি)র কাছ থেকে প্রতিদিন মাটি কেটে নিচ্ছে।
যার কারণে সরকারি ম্যানগ্রোভ বাগানসহ বেড়ির বাইরে রেখে দেয়া কৃষকদের সকল জমিগুলো শিগ্রই নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলার সাথে কথা বলার জান্য তার অফিসে গিয়ে ও তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।