চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিবেদক
ভোলার চরফ্যাশনে স্বামীর জমি হাতিয়ে নিতে বড় সতিন ফাতেমা বেগম ও তার সন্তান মো. ফজলুর রহমান ও মো.রাসেল এবং বোন নাসিমাসহ পুত্রবধু আয়েশাকে বাড়ি ছাড়া করতে মারিয়া হয়ে উঠেছেন ছোট সতিন পরুল বেগমসহ তার সন্তানরা।
স্বামী জাকির বাগার ইন্দনে ছোট সতিনকে দিয়ে বড় স্ত্রীকেসহ তিন সন্তানকে দফায় দফায় মারধর করে কুপিয়ে জখম করেছেন। এতেই ক্ষান্ত হননি স্বামীসহ সতিনের পূর্বের ঘরের সন্তান লামিয়া, সাইফুল, সুখী বেগম, পুত্রবধু দিপা বেগম এবং মেয়ের জামাতা আলামিন, শাজাহান ও পিয়ারা বেগম। আহত ওই পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বড় সতিনের বসত ঘর জবর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বুববার দুপুরে ফের ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে পুত্রবধু আয়েশা ও মেয়ে নাসিমাকে মারধর করে বাড়ি দখলের চেষ্টা করেন। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা জবর দখলে ব্যর্থ হন।
মঙ্গলবার ও বুধবার দিনভর দফায় দফায় মারধর ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তারা চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ভোক্তভোগী নারী ফাতেমা বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী জাকির বাগা আমাকে এবং এক কন্যসহ তিন সন্তানকে ফেলে অন্য এক নারীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক যুগ স্বামী জাকির বাগা আমার ও সন্তানদের কোন খোজখবর নেননি। ৫ আগষ্টের আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হঠাৎ সতিন পারুল বেগম বাড়িতে আসেন। আমার পুত্রবধু ও সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে যেতে হুমকি ধামকি দেন। এতে ব্যর্থ হয়ে তিনি দক্ষিণ আইচা থানায় আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে জড়িয়ে থানায় ৯ নভেম্বর একটি অভিযোগ দেন। কিন্তু আমরা থানায় উপস্থিত হলেও তার থানায় না গিয়ে পরে ১১ নভেম্বের তারা ফের বাড়ি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আমাকে এবং আমার পুত্রবধু আয়েশাকে মারধর করেন।
তিনি আরোও জানান, বাড়িতে হামলা , মারধর ও বসত ঘর জবর দখলের খবর পেয়ে আমার দুই সন্তান বাড়িতে এলে মঙ্গলবার সতিন পারুল বেগমসহ তার পূর্বের স্বামীর ঘরে সন্তানরা বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বসত ঘরে হামলা চালায়। এসময় আমার দুই ছেলে ফজলুর রহমান ও মো. রাসেলসহ আমি প্রতিবাদ জানালে তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। আমাদের ডাক চিৎকারে বাড়ির অপর পরিবারের সদস্যরা হামলাকারীদের কবল থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে আমি দুই সন্তানসহ চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
অভিযুক্তদের হুমকি ধামকি ও দফায় দফায় হামলায় বাড়ি যেতে পারছেনা তারা। থানা পুলিশের সহয়োগিতা চেয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে নিরাপত্তাহীনতার রয়েছি আমরা।
অভিযুক্ত স্বামী জাকির বলী পুলিশ খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য জানাযায়নি। তকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফারুল বেগম জানান, যে কোন মূল্যেই হউক রাতের মধ্যেই তাদেরকে বাড়ি ছাড়া করবো।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভূইয়া জানান,বিষয়টি আগে থেকেই শুনেছি। গতকাল তাদের হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।