তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের পরানধর গ্রামে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। এই ঘটনায় শিপন মিয়ার স্ত্রী নাহিদা আক্তার বাদী হয়ে গত শনিবার (৯ই নভেম্বর) রাতে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার মছব্বির মিয়া,মো:মজনু মিয়া,হাসিম মিয়া,শামিম মিয়া,বশির মিয়া,শিউলী বেগম, রুমেলা আক্তার,তামান্না আক্তার।
লিখিত অভিযোগ সূত্রের বরাতে জানা যায়, শনিবার (৯ই নভেম্বর) সকাল অনুমান ১০টার সময় কমলগঞ্জের মৌজাঃ পরানধর, জেএল নং- ২৯, খতিয়ান নং-৬২, দাগ নং-৩৫৬, পরিমাণ ২৯ শতক ভূমি, তফসিল বর্ণিত ভূমি দখল নিতে বিবাদীগন বসত বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট চালিয়েছে। ভূমি জবর দখল নিতে বিবাদীগন বিভিন্ন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন,বিবাদীগণ অত্যান্ত অন্যায়,অত্যাচারী উৎশৃঙ্খল, লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী, পরধনলোভী ও জবরদখলকারী প্রকৃতির লোক, তাহারা সবসময় গায়ের জোরে চলাফেরা করে, আইনের ধার ধারে না,বিবাদীগনের সহিত তাদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসতেছে। বাদী একা বাড়িতে থাকেন তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। বিবাদীরা জোরপূর্বক ভূমি দখল করার পায়তারায় লিপ্ত থাকে। তাহারই ধারাবাহিকতায় বিবাদীগণ বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে, মামলাটি চলমান রয়েছে। ঘটনার তারিখ ও সময়ে বিবাদীগণ তপশীল বর্ণিত ভূমি জোরপূর্বক দখল করার উদ্দেশ্যে তার স্বামীর পুরাতন বসতঘর ভাংচুরসহ রোপনকৃত গাছ- পালা কেটে ফেলে এবং জোরপূর্বক বাঁশের বেড়া দেবার চেষ্টা করে।
তিনি বিবাদীগণকে বাঁধা দিলে বিবাদীগন তাকে অশ্লিল ভাষায় গালি- গালাজসহ তাদের হাতে থাকা, দেশীয় রামদা, লোহার শাবল, লাঠি-সোটা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে মারপিট করতে উদ্যত হলে তিনি প্রাণ বাঁচাতে বসত ঘরে প্রবেশ করে প্রাণে রক্ষা পান। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছেন।
এঘটনায় অভিযুক্ত মছব্বির মিয়া জানান, আমরা কোন মারামারি করিনাই, ঘটনার দিন সীমানা নির্ধারণ করতে চেয়েছিলাম,আমাদের ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্র রহিয়াছে ।
কমলগঞ্জ থানার এস আই সবুজ মিয়া জানান,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।