ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় একটি হত্যা মামলায় নিহতের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত রিপোট পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগী আসামীরা।
ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হাচন আলি হাওয়ালাদার বাড়ির ওহাব আলির ছেলে আব্দুল মালেক (মানিক) ও তাজুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো।
গত ২৩-০৫-২৪ ইং তারিখ সকাল ১০ টার দিকে তাজুল ইসলামের বড় ভাই মানিক তার বসত ঘরে ষ্টোক করে মারাযান। এর জের ধরে নিহত মানিকের ছেলে মামুন বাদি হয়ে ভোলা সদর থানায় তাজুল ইসলামের পরিবারের ৯জনকে আসামি করে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।পরবর্তিতে এ মামলার ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় তাজুল ইসলামসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ সুযোগে মফিজুল ইসলাম (মজু) ও মামুনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী কয়েক দফায় তাজুল ইসলামের বাড়িতে থাকা ২টি ঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যা তাজুল ইসলামের ঘরে থাকা্ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে প্রমান পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য নিহত মানিকের সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত রিপোর্টে তাকে যে হত্যা করা হয়েছে এমন কোন সু-স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। বর্তমানে এ সড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় তাজুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা সব কিছু হাড়িয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে । তাই এ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহুতি পেতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ, ভূ্ক্তভোগী তাজুল ইসলামের পরিবার।
তাজল ইসলাম অভিযোগ জানান, ২৩-০৫-২৪ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ১০ টা দিকে আমার বাড়িতে প্রথাম লুট হয় এর পরে আমার মেজ ছেলে বউ লিজা বেগম বাদি হয়ে ভোলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি হামলা,নারীদে অশ্লীল হানি ও লুটের অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং জি,আর ৩০০/২৪। এই মামলা পরে পুলিশ কোন আসামি আজ পর্যন্ত ধরে নি।
এরপর পর এ আমার বাড়ি আরও কয়েক দফায় লুট হয়ে সবকিছু নিয়ে যায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা। আমার ঘর থেকে যে সকল মালামাল নিয়েছে তার আংশিক একটি তালিকা আমি তৈরি করেছি তাহলে,স্বর্ন অলঙ্কার ৩ বোরি যার বাজার মূল্যে ৩ লক্ষ টাকা,ঢয়ার থেকে টালা ভেঙ্গে নগদ ২ লক্ষ টাকা,অফিসিয়াল কাজগ পত্র, জমির কাগজ পত্র ও বাচ্চাদের মুল্যবান শিক্ষগত সনদ পত্র নিয়ে যায়, নগদ খাট ২টি যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা, ফ্যান ৭টি বর্তমান বাজার মূল্য ২১হাজার ফ্রিজ ১টি বর্তমান বাজার মূল্য৪৫ হাজার টাকা, ওয়াল সোকেজ ২টি বর্তমান বাজার মূল্য ৫০হাজার টাকা,চেয়ার টেবিলসহ ৫০ হাজার টাকার, গ্যাসের চুলা ২টি বর্তমান বাজার মূল্য ৬হাজার টাকা,সোপা এক সেট ৪৫ হাজার টাকা, আমার ঘরে থাকা ক্রোকারিজ বর্তমান বাজার মূল্য ৫০হাজার, দামি কম্বল ৪ টি বর্তমান বাজার মূল্য ৩৬ হাজার টাকা, লেপ তোষক ৫সেট বাজার মুল্য ৫০ হাজার টাকা ,একটি ডিপ কল ও মোটর বর্তমান বাজার মূল্য ১১হাজার টাকা, বাই সাইকেল একটি ১০হাজার,নতুন সেনেটারি সামগ্রী ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা,মোবাইর একটি ২০ হাজার টাকা,বাড়িতে স্রজন করা গাছ ও বিভিন্ন আসবাব পত্র তৈরী করার কাট ২ লক্ষ টাকার,হাস মুরগী ১০ হাজার টাকা, ১০০ জোড়া কবুতর ৫০ হাজার টাকা,টিক পাচ বান ৪০ হাজার টাকা,ইট ৫ হাজার যার বাজার মুল্যে ৬০ হাজার টাকা, ও আমার পুকুরে থাকা ৫ লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায় তারা। এ সময় তারা আরো নিয়ে যায় আমার গাছের কাঁঠাল লিচু আম নারিকেলসহ বেশ কিছু।