আবুবকর সিদ্দিক, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি
খুলনা জেলার কয়রা থানার অন্তর্গত হড্ডা গ্রামে অস্ত্রসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও চাঁদাবাজিসহ প্রান নাশের হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোঃ জিল্লু গাজী । মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকায় নিজস্ব বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন ইং ০৫/১১/২০২৪ তারিখে আমার বাড়ী লাগোয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খোকন, বিল্লাল, কাশেম আসিয়া প্রকাশ্যে ৫০,০০০/- টাকা চাদা দাবি করে। আমি টাকা কেন দিব জিজ্ঞেস করিলে তার রাগে অগ্নিশর্মা হইয়া উঠে আমাকে হুমকি দিয়া বলে যে, তোর এলাকার আমিরুলের কি অবস্থা করেছি দেখেছিস, তোর অবস্থাও অমন করে দিব, বাহিনী দিয়ে ধরিয়ে দিব, অস্ত্র মামলায় ফাঁসাবো বলিয়া হুমকি প্রদর্শন করে। আমার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী হামিদ গাজীর বাড়ীতে যাইয়াও তারা প্রকাশ্যে চাদা দাবি করিলে হামিদ গাজী চাদা দিতে অস্বীকার করিলে হামিদ গাজীকে বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নেওয়ার হুমকি ও স্থানীয় কাঁকড়া ব্যবসায়ী জলিল গাজীর নিজস্ব মোবাইল নাম্বারে ০১৯৬৪৬৯৪২৬৫ নাম্বার থেকে খোকন কল দিয়া ১৫,০০০/ টাকা চাদা দাবি করিলে জলিল গাজী অস্বীকার করিলে জলিল গাজীকে হত্যার হুমকি সহ মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো ও ব্যবসা করতে না দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন খোকন পিতা আবুল হোসেন শেখ গ্রাম কালাবাগি থানা দাকোপ, বিল্লাল গাজী পিতা নুর মোহাম্মদ গাজী গ্রাম গড়ুইখালী, কাশেম পিতা আবুল সাং বেতবুনিয়া থানা পাইকগাছা জেলা খুলনাগণ স্থানীয় গরিব অসহায় মানুষ নদিতে বৈধ উপায়ে মৎস্য আহরন করিলে তাদের নিকট থেকে চাদা দাবি করে , চাদা দিতে অস্বীকার করিলে উঠিয়ে জঙ্গলে আটকে রাখার হুমকি দেয়। তারা এলাকায় দেদারসে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে যুব সমাজ ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বাধা দিলে বা প্রতিবাদ করিলে মারপিট হুমকি ধামকি মান অপমানসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। তারা বিভিন্ন সময়ে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনির পোশাক পরে এলাকায় এসে মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার পায়তারা করিতেছে। আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি তারা পূর্বে ডাকাতি পেশায় জড়িত ছিল। তারা বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে জিম্মি করে, বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে ও ভয়ভীতি দেখাইয়া টাকা আদায় করিয়াছে। তারা আমাদের গ্রামের অনেকের নিকট থেকে মামলায় ফাঁসানো, বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে ও বাহিনী দিয়ে ধরে দেওয়ার ভয় দেখানোসহ নানাভাবে হয়রানি করিয়া আসিতেছে। এজন্য আমি কন্টিনজেন্ট ইনচার্জ ,কয়রা বরাবর দরখাস্ত ও মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালঅসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপিও পাঠিয়েছি।