মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী, এ স্টাফ রিপোর্টার
লালমনিরাট জেলা কালীগঞ্জ উপজেলার হাড়িশ্বহর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোজাহারুল ইসলাম সহ কমিটি কর্তৃক নিয়োগ বাণিজ্য ও দূর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও ভুক্তভোগী ব্যাক্তি বর্গ,
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাদ্রাসা মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় ভুক্ত ভুগি পরিবার বর্গ ভুক্তভোগীরা এসময় ওই মাদ্রাসার সুপারের কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এসময় অবৈধ নিয়োগ বাতিলসহ মাদ্রাসা সুপারের ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি অভিযোগ করে পদত্যাগ দাবি করেন।
ভুক্ত ভুগি অভিভাবক তাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন পদে চাকুরী দিয়ে ৮৬লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করেন মাদ্রাসার সুপার অনতিবিলম্বে সুপারের অনিয়ম দূর্নীতির তদন্ত করে অপসারন দাবী করেন তারা।
ভুক্তভোগী আয়া পদে নিয়োগ প্রাপ্ত শিউলি আক্তার জানান,আয়া পদে চাকুরির জন্য ১২ লক্ষ দিয়েছেন, তাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাকে ও তার স্বামীকে মারধর করা হয়। সে আরো বলেন ” গরু ও জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছি চাকরির জন্য কিন্তু আমি চাকরি পাইনি, আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের আহবান ও বিচার চাই।
এসময় হাড়িশ্বহর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোজাহারুল ইসলাম মাদ্রাসায় না থাকায় তিনি ফোন কলে বলেন “মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর থেকে অনেকেই আমার কাছে চাকরি চায়,ইতিপূর্বে যারা টাকা দিয়েছিলো তারা সবাই টাকা ফেরৎ নিয়েছে, শিউলি বেগম তার চাকরির জন্য আমাকে কোন টাকা দেয়নি সে তৎকালীন সভাপতি আবুল বাশার কে টাকা দিয়েছে, তার বিষয়ে আমি আর কিছুই জানিনা,নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিপূর্বে অনকে কিছু হয়েছে সেসব বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিস বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি এস্থানিয় সুশীল সমাজের জনগণের প্রশ্ন বাংলেদেশের নাগরিক বাংলাদেশে চাকরি নিতে বা চাকরি করতে টাকা কেনও দিবে? কাকে দিবে? চাকরি বানিজ্য বন্ধ হচ্ছে না কেনও?
সুপার ও কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কে আইনের আওতায় এনে জানা হোক টাকা তারা কাকে দিতো আর কে কতো নিতো।।।।