মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী স্টাফ রিপোর্টার
রংপুর বিভাগ কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত প্রায় ৪শতাধিক চর রয়েছে। আগাম আলুর বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় চরাঞ্চলের এসব ধু-ধু বালু জমিতে কৃষকরা আগাম আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছর আলুর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা আগাম আলু চাষে ঝুঁকেছেন। ৫৫ থেকে ৬০ দিনে এসব আগাম আলু উত্তোলন করে একই জমিতে ভূট্টা, সরিষা সহ অন্যান্য ফসল চাষ করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং রোগ বালাইয়ের তেমন কোন প্রাদুর্ভাব না হলে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এবার রংপুরের কৃষকরা।
চরাঞ্চলের বালু জমিতে সেচ, সার ও কীটনাশকের খরচ বেশি হওয়ায় উৎপাদিত আলুর বাজার নিয়েও চিন্তিত তারা। তবে তাদের প্রত্যাশা ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এ আলু উত্তোলন করে আগাম নতুন আলুর বাজার ধরার পাশাপাশি একই জমিতে ভুট্টা, সরিষা সহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতে পারবেন তাঁরা ইনশাআল্লাহ।
চলতি মৌসুমে জেলার কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, উলিপুর, রাজারহাট এ দিকে লালমনিরহাট গাইবান্ধা দিনাজপুর অঞ্চল গুলোতে ও একই অবস্থা প্রায় সব উপজেলা এবং চরগুলোতে উফশি, অ্যাস্টরিক,কার্টিনাল,রোমানা ও স্থানীয় জাত মিলে ১৫ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরোদমে আলু চাষ শুরু না হলেও চরাঞ্চলের কৃষকরা আগাম আলুর দাম পাওয়ার আশায় আগাম আলু চাষ শুরু করেছে। সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের মাষ্টারহাট ওয়াবদা সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা আগাম আলু চাষে প্রতিদিন ব্যস্ততম সময় পার করছেন।
এসময় আলু চাষী কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের স্থনীয় বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন প্রায় ১৮ একর জমি বর্গা নিয়ে আলু রোপণ করছি।কিন্তু এবছর আলুর বীজ, সার, কীটনাশকের দাম বেশি।তবে সামনে আবহাওয়া ও বাজার মুল্য যদি ভালো থাকে তবে লাভের আশা করছি।পাশাপাশি আরেকটি বিষয় বলেন এবছর বিঘা প্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা ব্যয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্য দিকে আরেকজন কৃষক রমজান আলী বলেন স্থানীয় কৃষি অফিসার যদি আমাদের খোঁজ খবর নিয়ে আলু চাষে সুপরামর্শ দেন তবে ফলন ভালো হবে আশা করছি।
কুড়িগ্রাম সেকেন্দার কোল্ড স্টোরের মালিক সেকেন্দার আলী বলে, গত বছরের তুলনায় এ বছর আলু চাষিদের আলু চাষে আগ্রহ বেড়েছে। সে তুলনায় আলু বীজের যোগান কম।চাহিদার সাথে বীজ সংরক্ষণ কম থাকায় আলু চাষিদের বীজ নিয়ে কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুড়িগ্রাম জানান চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আলুর ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক। তবে আলুর বাজার নিয়েও কিছুটা চিন্তিত তারা।আশা করছি আবহাওয়া অনুকূল ও বাজারদার ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে। সে সাথে সরকারি ষাঁড়ের গুদাম গুলো থেকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানান কৃষকেরা।