ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার জমি বিক্রির প্রতারণা মামলায় ওয়ারেন্টের ৭ মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি প্রভাবশালী আসামীরা। বর্তমানে আসামীরা পুলিশের নাকের ডগায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উল্টো বাদী পক্ষকে হুমকী ধামকি আব্যাহত রেখেছে আসামীরা। মামলার বিবরণ ও ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার আবু বকরপুর মৌজার বি.এস (দিয়ারা) ১১২৫ নং খতিয়ানের ১৩৩৯ দাগের মোট ৪০ শতাংশ জমির মধ্যে দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের, লেজপাতা গ্রামের, মৃত হাজী আলতাফর রহমান মিয়ার ছেলে মোঃ ফারুক ৩৩৪ সহস্রাংশে ১৩.৩৬ শতাংশ সম্পত্তিতে ভোগবান মালিক দখলকার বিদ্যমান থেকে চরফ্যাসন এস. আর অফিসের বিগত ২/৯/১৫ ইং তারিখের ৪৪৯১ নং দলিল মূলে উক্ত দিয়ারা খতিয়ান থকে ১৩- শতাংশ জমি ১,৬০,০০০/- টাকা বহায় মূল্যে জনৈক মোঃ ফরিদ মিঝি পিতা আঃ মন্নান মিঝি মাতা মৃত সাফিয়া খাতুন, এর নিকট বিক্রয় করে দখল হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে বিক্রেতা ফারুক উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়টি গোপন রেখে উক্ত সম্পত্তির মালিক দাবী করে একটি কু-চক্রি মহলের সহযোগীতায় ক্রেতা দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের, লেজপাতা গ্রামের, মৃত ছৈয়দ আহাম্মদের ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী তাছাড়া আবদুর রাজ্জাক ও আক্তার হোসেনের বিশ্বাস জন্মাইয়া প্রতারনার উদ্দেশ্যে ১৩ শতাংশ সম্পত্তির মূল্য ৯৯,০০০/- টাকা ধার্য করিয়া আবদুর রাজ্জাক ও আক্তার হোসেনের পক্ষে বাদীর নিকট হতে নগদ উক্ত টাকা গ্রহণ করে গত ০৭/০৩/২০১৭ তারিখে ১২৪৯ নং দলিল সম্পাদন রেজিঃ করে দেয়। পরবর্তীতে ক্রেতা আইউব আলী, আবদুর রাজ্জাক ও আক্তার হোসেনের বরাবরে উক্ত সম্পত্তি দখল বুঝাইয়া না দিয়া আজকাল করিয়া তাহাদেরকে ঘুড়াইতে থাকে বিক্রেতা প্রতারক ফারুক গংরা। উল্লেখ্য আইউব আলী, আবদুর রাজ্জাক ও আক্তার হোসেন গংরা দৌলতখান থানাধীন চরপাতা সাকিনের নদী ভাঙ্গন এলাকার লোক বলে জানাগেছে। ক্রেতা আইউবআলী আবদুর রাজ্জাক ও আক্তার হোসেন বাড়ী ঘর করার জন্য উক্ত সম্পত্তি খরিদ করিয়াছিলেন। পরবর্তীতে বিক্রেতা ফারুক সহ অন্যান্য আসামীগন আইউব আলী, সালীমন বরাবরে ১৯০০০/- টাকা গ্রহণ করে জমির দখল বুঝাইয়া না দেওয়ায় এবং উক্ত সম্পত্তি বিক্রেতা ফারুক পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করিয়াছেন মর্মে লোক পরস্পরে জানতে পেরে তখন উক্ত দলিলের কপি সংগ্রহ করে ক্রেতা আইউব আলী, শাহাবুদ্দিন, আবদুর রাজ্জাক ও আক্তার হোসেনসহ কয়েকজন মিলে গত ১৫-০৪-২০২৩ইং তারিখে বিক্রেতা ফারুকের বাড়ীতে গিয়ে, আইউব আলী, আবদুর রাজ্জাক ও আক্তার হোসেনের বরাবরে তাহাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির দখল বুঝাইয়া দিতে বললে প্রতারক ও বিশ্বাস ভঙ্গকারী বিক্রেতা ফারুক গংরা আইউব আলী, আবদুর রাজ্জাক ও আক্তার হোসেনের সম্পত্তি দখল বুঝাইয়া দিবে না মর্মে ছাফ বলে দেয় এবং এ মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, কখনই ক্রেতা আইউব আলীদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির দখল তাদেকে বুঝাইয়া দেয়া হবে না। বিক্রেতা প্রতারক ফারুক গংরা এসময় আরো জানিয়ে দেয়, উক্ত সম্পত্তি দাবী করিলে ক্রেতা আইউব আলী গংদের জীবনের তরে শেষ করে দেয়া হবে। অন্যদিকে এসময় আসামী ফারুক গংরা মামলার বাদি আইউব আলী গংদের এটাও জানিয়ে দেয় যে, উক্ত সম্পত্তি সে পূর্বে জনৈক ফরিদ মিঝির নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। ফারুক গং কর্তৃক এ প্রতারণার ঘটনায় ভূক্তভোগী আইউব আলী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত চরফ্যাসনে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেণ। মহামন্য আদালত তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি আমলে নিয়ে আসামী মোঃ ফারুক, সাদ্দাম হোসেন, আমজাদ হোসেন ও ফরিদা আক্তারকে দোষি সাবস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৭ মাস পূর্বে একটি ওয়ারেন্টের আদেশ প্রদান করেণ। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন আসামীকেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।