ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় খেয়া ঘাটে চাঁদার দাবীতে দোকান লুট, ভাংচুর ও ব্যবসায়ী আলমগীর মাতাব্বরে উপর নির্মম ভাবে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। শনিবার সকালে ভোলা খেয়াঘাট চত্ত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়ে।এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কিছু দিন আগে থেকে ওই এলাকার ব্যবসায়ী আলমগীর মাতাব্বরের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে স্থানীয় চঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী চক্রের মূল হোতা ছায়েদ মাল, শহিদ মাল, ইমরান মাল, হারুন হাওলাদার ও তানজিল মালসহ একটি সন্ত্রাসী চক্র। ব্যবসায়ী আলমগীর মাতাব্বর এ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীদের সাথে বাক বিতন্ড ও তীব্র শত্রুতা শুরু হয়। পরে শুক্রবার বিকেলে ছায়েদ মাল, শহিদ মাল, ইমরান মাল, হারুন হাওলাদার ও তানজিল মালের নেতৃত্বে দুই শাতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খেয়াঘাট এলাকায় প্রবেশ করে। এসময় সন্ত্রসীরা প্রথমে আলমগীর মাতাব্বরের মেসাস সততা পার্স ষ্টোরে প্রবেশ করে আলমগীর মাতাব্বরের উপর নিমর্ম ভাবে হামলা চালিয়ে তার দোকানে থাকা নগদ প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ও দোকানের দামিয় মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে মানববন্ধনে দাবী করেণ বক্তরা। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তি আরো ৪টি দোকান ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। এসময় আলমগীর মাতাব্বরের ডাক-চিৎকারে তার বাড়িতে থাকা স্ত্রী ও অন্যান্য মহিলারা ছুটি এলে সন্ত্রাসীরা তাদের শ্লীলতাহানী ও তাদের কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয় বলে মানববন্ধনে আভিযোগ করেণ ভূক্তভোগীরা। পরে স্থানীয়রা আলমগীর মাতাব্বরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেণ। এমতাবস্থায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কা্মনা করেণ ভূক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানায় ভূক্তভোগীদের পক্ষ থেকে একটি আভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ভোলা সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, আভিযোগ পাওয়াগেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আভিযোগ অস্বীকার করে।