ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা চর আনন্দ পার্ট-৩, ৬নং ওয়ার্ডে জমিজমা বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে ৮ জনকে কপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে দূর্বৃত্তরা। বর্তমানে আহত ৮জন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহতদের আভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ওই এলাকার শহিদ মেস্তুরির ছেলে শাহাবুদ্দিন স্থানীয় পালেগো থেকে জমি ক্রয় করে। এ জমির সকল কাগজ পত্র ঠিক থাকা সত্যেও অন্যায় ভাবে প্রভাব খাটিয়ে ওই জমিটি ভোগ দখল করতে দিচ্ছে না স্থানীয় সাত্তার মুন্সির ছেলে ইউসুফ ও তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা। এ জমির বিষয় নিয়ে কিছু দিন পূর্বে উভয় গ্রুপের মধ্যে বাক বিতন্ড হলে গত ৪ অক্টোবর ভূক্তভোগী শাহবুদ্দিনের স্ত্রী ইয়ানুর বেগম ও তার ছেলে হোসেনকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে সুবিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিনদের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের নামে ভোলা সদর থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। এ বিষয়টি সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনি সন্ত্রাসী ইউসুফ ও সাত্তার গংরা তারা শাহাবুদ্দিনদের উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগ খুজতে থাকে। অন্যদিকে শাহাবুদ্দিনের দেয়া থানার আভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ১২ অক্টোবর ভোলা সদর থানায় একটি শালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন থান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পুলিশের এ সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এবং এ শালিশটিকে বানচাল করার জন্য ও শাহাবুদ্দিনের পরিবারের লোকদের উপর বেপরোয়া হামলা করার পরিকল্পনা করে ইউসুফ গংরা। সূত্রে জানাগছে, আজ ১১অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু মোঃ ইউসুফ, পিতা-সাত্তার মুন্সী, ও রাসেল পিতা, সাত্তার মুন্সীর নেতৃত্বে, রাশেদ, পিতা-ছাত্তার মুন্সী, শাওন, পিতা-মান্নান, শামীম-পিতা-মান্নান, ছাত্তার মুন্সী, আলী আজম, আব্দুল মান্নান-পিতা অজ্ঞাত সহ আরো ভাড়াটে ২০/২৫জনের একটি সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে পরে। এসময় সন্ত্রাসীরা শাহাবুদ্দিন, পিতা-শহিদ মেস্তুরী, হাসান, পিতা-শাহাবুদ্দিন, মিজান, পিতা-শামসুদ্দিন, হোসেন, পিতা-শাহাবুদ্দিন, মহসিন, পিতা- শাহাবুদ্দিন, ইয়ানুর বেগম-স্বামী শাহবুদ্দিন, বুরজুফা বেগম- স্বামী শামসুদ্দিন কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় সন্ত্রাসীরা ওই ঘরের মহিলাদের স্বর্ণালঙ্কার ও ঘরের দামীয় আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়
এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগীরা।