ধামরাই প্রতিনিধি
মুঠোফোনে কল দিয়ে চাঁদা দাবি অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নাজমুল হাসান অভির বিরুদ্ধে। মাসিক ৬ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ তুলে যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ গিয়ে এ তথ্য দেন।
জানা যায়, গত রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমিজুর রহমান রোমা তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন। তবে সেচ্ছাসেবক দল নেতার দাবী হেয় করতে এমনটা করেছে ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
ফেসবুক লাইভে লিখিত বক্তব্যে রমিজুর রহমান রোমা বলেন, বর্তমানে বিএনপির নামধারী স্বেচ্ছাসেবক দলের চাঁদাবাজ নেতা আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকের মাধ্যমে কিছু প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ধামরাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুম আমাকে ফোন করে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অভিকে ফোন ধরিয়ে দেয়।কথা বলার এক পর্যায় গত বৃহস্পতিবার ধামরাইয়ে আমাকে ডাকে।
আমি সেখানে যাই, আমার কাছে তাদের দাবি সুতিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে তাদেরকে ব্যবসা দিতে হবে অথবা প্রতিমাসে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
আমি কি বিএনপি করি না? ২০১৪ সালের ধামরাই থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম,
অভির উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চাই, মনে করে দেখো বিগত দিনে বিভিন্ন সময় আমার কাছে বিভিন্ন প্রকারের কথা বলে টাকা চাইতে। আমি তো তোমাকে ফিরিয়ে দেইনি। তখন যা বলছো আমি শুনেছি,।
ইউনুস সরকারের আমলে তুমি কক্সবাজার পোলাপাইন নিয়ে বেড়াতে যাও আমি তোমাকে টাকা দিয়েছি। আমি তোমার সাথে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছি, আমি জানি তুমি একটি ভালো ছেলে । করেছ তুমি ধামরাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নামধারী সন্ত্রাসীকে আহবায়ক করেছ।
তার কারণে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। মাসুম কে না চিনে একটা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ওকে কেনা চিনে ?
তোমার ধামরাইয়ে কয়েকজন নেশাখোর এবং সন্ত্রাসী লোক ১৫ থেকে ২০ জন পোলাপাইন যাদের বয়স ২০ বছর হয় নাই তাহলে কি তুমি পিছে ঘুরাইতেছো
অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নাজমুল হাসান অভি বলেন, আমি কখনোই এসব চাঁদাবাজের সাথে জড়িত ছিলাম না। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তাদের অনুসারীদের রেখে গেছে। তাদেরকে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেই থেকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। শুধু তাই না আমাদের এখানে অনেক গুলো গ্রুপিং হয়। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে।