এম,এ,মান্নান,নিয়ামতপুর
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ঘোলকুড়ী গ্রামের আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান মোল্লা ও আলহাজ্ব মোসাঃ মোরসেদা বেগম এর ২য় পুত্র ডঃ মোঃ মাহতাব আলী মোল্লা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ব ও খনিজ বিদ্যার উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করায় এলাকা সহ পরিবারের সুনাম বয়ে এনেছেন।ডঃ মোঃ মাহতাব আলী মোল্লার পড়াশুনা শুরু হয়,পাড়া গ্রামের স্কুলে “শালবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়” এর পর মাধ্যমিকে শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।উচ্চ মাধ্যমিক রাজশাহী সিটি কলেজ থেকে শেষ করে অনার্স,মাষ্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।ডঃ মোঃ মাহতাব আলী মোল্লা বলেন ইচ্ছা থাকলে গ্রামের স্কুল থেকে পড়াশুনা করে অনেক কিছু করা যায়।তাই আমি বলব ইচ্ছা কে শক্তি বানিয়ে পড়াশুনা করলে ঐ শিক্ষার্থী তার সফল স্থানে পৌছবেই আল্লাহর রহমতে।
ডঃ মোঃ মাহতাব মোল্লার বাবা একজন কৃষক।কৃষি কাজ করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাকে এমন এক উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করিয়েছেন।এখন ডঃ মোঃ মাহতাব আলী মোল্লা “বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের” কলেজ শাখায় রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত রয়েছেন।
ডঃ মোঃ মাহতাব আলী মোল্লার বাবা আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান মোল্লা এক সময়ের একজন ভালো ফুটবলের গোলকিপার ছিলেন।তার জীবনে অনেক মাঠ ফুটবল খেলে বেড়িয়েছেন। আশে পাশের মানুষের কথা,যারা ফুটবল প্রেমী হয়,তারা সংসারে মনোযোগী হতে পারে না,কিন্তু ডঃ মোঃ মাহতাব আলী মোল্লার বাবা সব দিকে নজর দিয়ে সব কিছু ঠিক রেখেছেন।
আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান মোল্লার মোট ৩ জন ছেলে মেয়ে।২ জন ছেলে ১ জন মেয়ে। ১ম ছেলে মোঃ আব্দুল মান্নান বি,এ পাশ।মোঃ আব্দুল মান্নান বর্তমানে শ্রীমন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি (ভোকেশনাল) শাখায় ফুড প্রসেসিং আ্যান্ড প্রিজাভেশন ট্রেডে (ট্রেড ইন্সট্রাক্টর) পদে কর্মরত আছেন।
সবার ছোট মেয়ে,তাকেও আল্লাহর রহমতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন,ছোট মেয়েটি মোসাঃ জেসমিন আরা “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে” রসায়ন বিজ্ঞান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন এবং বর্তমানে মোসাঃ জেসমিন আরা “খাঁ-পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে” সহঃ শিক্ষিকা পদে কর্মরত রয়েছেন।
ডঃ মোঃ মাহতাব আলী মোল্লা বলেন, “আমাদের বাবা মা সেরা বাবা মা”।আার বাবা মা আমাদের ৩ ভাই বোন কে উচ্চ শিক্ষিত করেছেন আবার সংসার ঠিকঠাক বজায় রেখেছেন।পৃথিবীর সব বাবা যেন এমন হয়।আমার মনে আছে আমাদের বাবা মা সিঙ্গার মেশিন রাত দিন এক করে অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে মানুষের মতো মানুষ করেছেন।এতে আল্লাহ আমাদের পরিবারকে দেখিয়েছেন অন্যদিকে বাবা মার কষ্টে অর্জিত টাকা গুলো আল্লাহ কবুল ও মুন্জুর করেছেন।আমার বাবা পবিত্র হজ্জ পালন করেছেন আল্লাহর অশেষ কৃপা।
আপনারা দেশবাসী সবাই দোয়া করবেন আমাদের বাবা মাকে যেন আল্লাহর নেক নজর দান করেন।আমাদের বাবা মা কে যেন কোন দিন ভুল না বুঝি।এমন ও পরিবার আছেন যারা নিজেকে প্রতিষ্ঠত হওয়ার পর নিজের বাবা মা ভাত দেননা বাড়ি থেকে বের করে দেন।এমন ও শোনা গেছে মা মারা গেছে ছেলে বাড়ি আসার সময় নাই।
আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন আমাদের মনে যেন এরকম কোন মনোভাব জন্মও না দেয়।আমরা যেন আমাদের মা বাবা যে ভাবে আদর,যত্ন দিয়েছেন আমাদেরকে মানুষ করেছেন, সেই মনোভাব নিয়ে আমাদের বাবা মাকে সারা ভালোবাসা দিয়ে যেতে পারি।আল্লাহ আমাদের পরিবারের প্রতি সহায় হোন।”রাব্বির হামহুমা রাব্বিয়ানা ছগিরা” হে আল্লাহ পৃথিবীর মা বাবা কে হায়াতুত তয়্যিবা দান করুন।