এম,এ,মান্নান,নিয়ামতপুর
নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ও শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী দেয়ালে আজ শহীদদের স্মরণে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীরা শালবাড়ী বাজার ও শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে আলপনা অঙ্কন ও গ্রাফিতি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং তাঁদের আত্মত্যাগকে সম্মানিত করেছে।
এদিন সকাল থেকে শালবাড়ী বাজার ও শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে দেয়ালে উৎসবমুখর পরিবেশে মগ্ন হয়ে শহীদদের স্মরণে নানা রঙের আলপনা এবং মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক চিত্র আঁকে। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল ২৪ এর শহীদদের আত্মত্যাগকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং তাঁদের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাসের গুরুত্ব বোঝানো।
নিয়ামতপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ, শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও এই কর্মকান্ডকে অভিবাদন জনান এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। অধ্যক্ষের বক্তব্যে, তিনি বলেন, "এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ এবং শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করবে।"
সরাকার বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এই আলপনা অঙ্কনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ও সম্মান প্রকাশ করেন।শালবাড়ী বাজারের খালি দেয়াল ও শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের খালি থাকা দেয়াল গুলোকে আলপনা এঁকে সৌন্দর্যের একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাদের দাবি তারা বাহান্ন দেখিনি,৭১ দেখিনি কিন্তু ২৪ দেখেছে। এই নির্মমতার শিকার এবং তা প্রতিরোধে তারা অনস্বীকার্য অবদান রেখেছে।
কিছু কিছু ছাত্র যারা কেবলমাত্র উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে তাদেরকে ও এই সৈরাচার সরকার ছাড়ে নি তাদেরকে কারাদণ্ড দিয়েছেন।সৈরাশাসিত সরকার ছোট ছোট বাচ্চাদের কোমরে দড়ি বঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে তাদের কাজ হাসিল করার জন্য।যে বয়সে তারা শিখার জন্য বিদ্যালয় বা কলেজে যায় সেখানে যদি এ শিক্ষা দেয়া হয় তাহলে পরবর্তী প্রজন্মর কাছে বাংলাদেশ নামক যে দেশে সোনা ফলে তা কে কল্পনা ও যাবে না।এখন যারা ছাত্র তারা একদিন এ জাতিকে দিক নির্দেশনা দিবে।
এই জন্য বড় বড় মনিষীরা বলে গেছেন,
"ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুর অন্তরে”।
এ জাতি ভবিষ্যৎ সত্যিকারের বাংলাদেশ গড়তে এ শিশু/কিশোরদের ভালো কিছু শিক্ষা দিবে পক্ষান্তরে দিচ্ছে কুশিক্ষা।মানুষে মানুষে ভেদা ভেদ তৈরী করা।সৈরাচার হাসিনার কলঙ্কিত অধ্যায় ছিল ভোটের অধিকার খর্ব্ব করা।"ভোট একটি পবিত্র আমানত”সেখানে ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন জনগনকে।
তারপরও যদি কোন কেন্দ্রে ভোট একটু ভালোভাবে হয়েছে সেখানে সৈরাচার হাসিনার দালালরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে নিজে নিজে ফলাফল প্রস্তুত করেছেন।প্রিজাইডিং অফিসার বাধা দিলে অনেকেই নির্যাতিত হয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং স্যারদের কাজ ছিলো ওরা যেভাবে ফলাফল তৈরী করবে সেভাবে শুধু ঘোষনা করা।এমনও তারা করেছেন অনেক প্রার্থী সংখা গরিষ্ঠতা পেলে ও অন্য জনের নাম ঘোষনা করা হয়েছে।এখন মানুষ তথা জনগনের একটায় প্রধান দাবি উপদেষ্টা,সকল উপদেষ্টা মন্ডলী সহ অঙ্গ সংগঠন অন্তত জনগনের পবিত্র ভোটের দায়িত্ব ফিরিয়ে দেয়া হোক। তাহলেই এ বাংলাদেশ এক সময় হয়ে উঠবে সেনালী স্বপ্নে ঘেরা বাংলাদেশ।
২৪ এর আন্দোলনে যারা অকাতরে প্রান দিয়ে গেল এ জাতিকে দিল সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ তা কোনদিন ও ভূলার নয়।তাদের স্মরনে এ আলপনা আঁকা যেন পরবর্তী প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারে।ছাত্র আন্দোলন এর একজন মোঃ সংবাদমাধ্যম কে বলেন,পুলিশরা যেভাবে গুলি চালিয়ে তাজা প্রান কেঁড়ে নিল তাদেরকে এ বাংলাদেশ কোন দিনও ভুলবে না।আমরা চাই যে পুলিশ গুলো আমাদেরকে গুলি করেছেন তাদের কে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শাস্তি কমনা করছি।
সম্পাদকীয় ও বাণিজিক কার্যালয়: ব্লক: ই, সেক্টর: ১৫, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০
নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৬১৯৮৭৭১৫৭, ইমেইল: news@hotnews24.news
সম্পাদক ইমেইল: editor@hotnews24.news, বিশেষ প্রয়োজনে: hotnewslive24@gmail.com
কপিরাইট ©2006-2024 hotnews24.news