এম,এ,মান্নান,নিয়ামতপুর
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় সরকারি খাল খননে ভাগ্য বদলে দিয়েছে কৃষকের। খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিয়ামতপুর উপজেলার নিয়ামতপুর-গাহইল খাল খননে নিয়ামতপুর সদর ও রসুলপুর ইউনিয়নবাসী ও কৃষকের জমি চাষে কৃষকের ভাগ্য বদলে দিয়েছে।
এ ব্যপারে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রকৌশলী জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, সারাদেশের ন্যায় “পুকুর ও খাল” খননের প্রকল্পের আওতায় নিয়ামতপুর উপজেলাধীন নিয়ামতপুর-গাহইল খাল খননের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধর্ধন কর্তৃপক্ষ খাল খনন পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এ প্রকল্পের বরাদ্দ কত টাকা ও খাল খননের দৈর্ঘ্যের পরিমাণ কত জানতে চাইলে তিনি জানান, এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দ প্রায় ৭৬ লাখ টাকা এবং খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার।
ঔ খাল খননের ফলে নিয়ামতপুর সদর ও রসুলপুর ইউনিয়নবাসী কৃষকের কৃষি কাজে কি ভুমিকা রাখতে পারে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই খাল খননে কৃষকের কৃষি জমিতে পানি সেচের জন্য অগ্রনী ভুমিকা রাখবে এবং কৃষকের জমিতে কৃষি কাজে সেচ কার্য্যে পানির অভাব দূর করবে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।
খাল খনন প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবে হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রকৌশলী জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার মনিটরিং টিম নিজে নিয়মিত ভাবে কাজের তদারকি করেছে এবং বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট নিয়ামতপুর-গাহইল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন করেছেন।
এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর-গাহইল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি জনাব মোঃ শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি খাল খননের কার্যাদেশ পাওয়ার পর সরকারী বিধিমালা মোতাবেক খাল খনন করেছি এবং খাল খননের কাজে কোন প্রকার অনিয়ম করি নাই। এ খাল খননের ফলে খালের আশপাশের জমিতে পানি সেচের আর কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়া রবি শস্যের জন্য অত্যান্ত সুফল বয়ে আনবে। কোন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না। কাজ শেষে নওগাঁ, রাজশাহী এমনকি ঢাকার টিমও পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করলে তারা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, নিয়ামতপুর-গাহইল খাল খনন করায় সারা বছর পানি ঘাটতি পরবে না ফলে আমাদের কৃষি জমিতে কৃষি কাজে পানি সেচের মাধ্যমে জমির ফসল উৎপাদনে সহায়ক ভুমিকা রাখবে ও ফসল উৎপাদন আরো বেড়ে যাবে।
তারা আরো বলেন, এ খাল খননে অতিবৃষ্টির কারনে জলাবদ্ধতা থেকেও কৃষি জমি মুক্ত থাকবে। কৃষকগন আরো বলেন, এই নিয়ামতপুর-গাহইল খাল খনন করায় আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী জনাব মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রকল্পের কাজ ৮৪ হাজার টাকা। কাজের ৭৫% মেশিন দ্বারা এবং ২৫% লেবার দ্বারা বাস্তবায়িত হবে। আর খননের বিষয়ে সু-নির্দিষ্ট কোন মাপের নির্দিষ্ট কিছু নির্দশনা নাই। কোথাও ২ ফিট, কোথাও ৩ ফিট কোথাও ৬ ফিট খনন করা লাগতে পারে। সাইডের মাটি প্রয়োজনে দিতে হবে।
সম্পাদকীয় ও বাণিজিক কার্যালয়: ব্লক: ই, সেক্টর: ১৫, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০
নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৬১৯৮৭৭১৫৭, ইমেইল: news@hotnews24.news
সম্পাদক ইমেইল: editor@hotnews24.news, বিশেষ প্রয়োজনে: hotnewslive24@gmail.com
কপিরাইট ©2006-2024 hotnews24.news