সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক মহলে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে – গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি আসলে কার? এই সংগঠনটি নিজেকে একটি স্বাধীন ও নির্দলীয় ছাত্র প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাবি করলেও, গভীর অনুসন্ধানে এর পিছনে অন্য একটি চিত্র উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি আসলে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি ছদ্মবেশী সংগঠন। এটি তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য একটি নতুন কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা এই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সদস্য। এর মধ্যে রয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব নাহিদ ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদসহ আরও অনেকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি জামায়াতের একটি সুকৌশল। কারণ, ইসলামী ছাত্রশিবির নামের সঙ্গে যুক্ত নেতিবাচক ধারণা এড়াতে তারা এই নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির যাত্রা শুরু হয় গত বছরের ৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে, কোটা আন্দোলনের সময় নুরুল হক নুরের সাথে জামায়াতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা জানা যায়। তবে পরবর্তীতে নুর জামায়াত থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন।
বিশ্লেষকদের মতে, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি আসলে জামায়াতের একটি অঘোষিত শাখা, যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্রসমাজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
এই পরিস্থিতিতে, দেশের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, এই ধরনের ছদ্মবেশী সংগঠনগুলো দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।